যারা আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, তাদের অনুসারীরাই স্মরণসভায় হামলা করেছে: গণসংহতি
ছাত্রলীগের হামলায় নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদের স্মরণ সভায় ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
যারা ৩ বছর আগে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, তাদের অনুসারীরাই আবরার ফাহাদের স্মরণ সভায় হামলা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তারা।
শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে এক যৌথ বিবৃতিতে গণসংহতি আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃত্ব এ কথা বলেন।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের ব্যানারে ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মসূচিতে বিনা উস্কানিতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলা ও পুলিশের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জোনায়েদ সাকি ও আবুল হাসান রুবেল বলেন, ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষের কণ্ঠ রোধ করতেই আবরারের হত্যারীদের উত্তরসূরীরাই হামলা চালিয়েছে। আর এই হামলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়েছে। ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল শাখার নেতা আখতার হোসনসহ ২৪ জন আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলাকারীদের প্রটোকল দিয়ে পুলিশ বরং হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করেছে। পুলিশের এই ভূমিকা এটাই প্রমাণ করে যে, সরকারের মতো করে এই রাষ্ট্রও জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। ছাত্রলীগের হামলায় প্রায় ২০ জন আহত হয়ে ঢামেকে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানে গিয়ে পুনরায় হামলা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকা এটাই প্রমাণ করে যে, তারা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মদদ দেয়।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক স্মরণসভার কর্মসূচিতে এ ধরনের হামলা আবারো প্রমাণ করে সরকার মুখে সভা-সমাবেশে বাধা না দেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে সারা দেশে রাজনৈতিক ভিন্নমত চর্চার নূন্যতম পরিবেশও রাখতে চায় না। জনসম্মতিহীন ফ্যাসিবাদী-কর্তৃত্ববাদী ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সন্ত্রাস, দখলদারত্ব কায়েম করে শিক্ষাঙ্গনসহ সর্বত্র দখল বজায় রাখতে চায় সরকার।
গণসংহতি আন্দোলনের নেতা বলেন, সরকার এইভাবে ছাত্রলীগ এবং পুলিশ দিয়ে সন্ত্রাস করে কিংবা ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পারবে না। সরকার যখন জনগণের বিরুদ্ধে দাড়ায় তখন সেই সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের জাগরণ অবশ্যম্ভাবী। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।