ইসরায়েলের সঙ্গে পুনরায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক
ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বৈরীতার অবসান ঘটিয়ে পুনরায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক। ইসরায়েলও তুরস্কের সঙ্গে পূর্ণমাত্রার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।
আজ বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সম্পর্কে ধারাবাহিক উন্নতি হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং উভয় দেশে পরস্পরের রাষ্ট্রদূতদের ফেরানো হবে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং ইয়ার লাপিদের টেলিফোনে কথোপকথনের পর ওই বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশের মানুষের সম্পর্ক গভীর করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা দৃঢ় করতে ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে কুটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনের বিরুদ্ধে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভের সময় ইসরায়েলি সৈন্যরা অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। এই ঘটনায় সেই সময় বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যাপক নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ফিলিস্তিনিদের হত্যার প্রতিবাদে ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয় তুরস্ক। একই সময়ে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকেও বহিষ্কার করা হয়।
গত মার্চে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ তুরস্ক সফর করেন। তার এই সফরের পর তুরস্ক-ইসরায়েলের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হয়। এর মধ্য দিয়ে এক দশকেরও বেশি সময়ের কূটনৈতিক উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক উষ্ণ হতে শুরু করে।