সর্বাবস্থায় দেশের বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে জামায়াতে ইসলামী আছে: বুলবুল

0

চকবাজারে পলিথিন কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্বজনদের সাথে সাক্ষাত, শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন এবং লাশ পরিবহন ও দাফন কাজে সার্বিক সহায়তা করতে গতকাল মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির জননেতা নূরুল ইসলাম বুলবুল।

এ সময় নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সরকারের ব্যর্থতা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের সার্বিক অব্যবস্থাপনার কারণে অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা দেশে বারবার সংঘটিত হচ্ছে। এমনকি চকবাজারের আগুনে পুড়ে যাওয়া পলিথিন কারখানা ভবনেরও অনুমোদন প্রক্রিয়া ও নির্মাণে যথেষ্ট ত্রুটি ছিলো। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষের পরিবারকে কোনো কিছু দিয়েই ক্ষতিপূরণ দেয়া সম্ভব না। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন ক্ষতিগ্রস্তদের এই পরিস্থিতি উত্তরণে বিশেষ সহযোগিতা করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সর্বাবস্থায় দেশের বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। অতীতেও দেশের বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আমরা মানুষের পাশে থেকেছি, যা দেশের জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে। আজকেও এই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের কফিন নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছানোর জন্য ৪টি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে ফ্রি লাশ পরিবহনের ব্যবস্থা করেছে জামায়াত। চকবাজারের পলিথিন গোডাউনে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থেকে জামায়াতে ইসলামীর স্বেচ্ছাসেবকেরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজ-খবর ও তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য জামায়াতের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান চকবাজারে পলিথিন কারখানায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের প্রতি সালাম, দোয়া ও সমবেদনা জানিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, দেশে বিভিন্ন দুর্ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পরে একটা তদন্ত কমিটি হয়। এর পরে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। সরকার বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এসব দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় না। যদি সঠিকভাবে তদন্ত না হয় তাহলে বার বার এমন দুর্ঘটনা সংঘটিত হতেই থাকবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com