বিদেশী প্রতিনিধিদের স্বাগতম: তাইওয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, অন্যান্য বিদেশী প্রতিনিধি দলকে তাইপেই ‘আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাচ্ছে’। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির গত সপ্তাহের সফরের কারণে চীনের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় তার সরকার নিবৃত্ত হবে না।
শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উও পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত চীনের সামরিক মহড়ার সমালোচনা করেছেন এবং বেইজিং-এর বিরুদ্ধে তাইওয়ান প্রণালীতে ‘স্থিতাবস্থা নষ্ট করার’ অভিযোগ করেছেন।
উ বলেন, তাইওয়ানকে তার নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করতে বাধা দেয়া যাবে না।
পেলোসির সফরের পর চীন নজিরবিহীন, বৃহদাকারের সামরিক মহড়া দিয়ে তাইওয়ানকে বেশ কয়েক দিন ধরে ঘিরে রেখেছে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই মহড়াকে দ্বীপে আক্রমণ বা অবরোধের মহড়া হিসেবে বর্ণনা করেছে।
তবে চীনের প্রতিক্রিয়া অনুরূপ উচ্চস্তরের বিদেশী প্রতিনিধি যারা গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত দ্বীপের প্রতি সমর্থন দেখাতে চায় তাদের তাইওয়ান সফরকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে মনে হচ্ছে না।
দ্য গার্ডিয়ানের মতে, ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের একটি উর্ধ্বতন দল এই বছরের শেষের দিকে তাইওয়ান সফর করার পরিকল্পনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ম্যাকার্থিও সম্প্রতি বলেছেন, যদি নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে তার রিপাবলিকান পার্টি জয়ী হয়, সংসদের স্পিকার হিসেবে তিনি তাইওয়ান সফর করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলগুলো নিয়মিতভাবে তাইওয়ানে সংহতি প্রকাশের লক্ষ্যে ভ্রমণ করে থাকে, যদিও পেলোসির সফরটি গত ২৫ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের স্পিকারের প্রথম তাইওয়ান সফর ছিল।
চীন এই ধরনের সমর্থনকে তার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে মনে করে। তারা বলেছে, তাইওয়ান কয়েক শ’ বছর ধরে চীনের একটি অংশ ছিল এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টি কখসো দ্বীপটি শাসন না করলেও এটিকে পুনরুদ্ধার করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয় না।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা