পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন দেশবাসীর কাছে কৌতুক অভিনেতায় পরিণত হয়েছেন: রিজভী

0

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন দেশবাসীর কাছে কৌতুক অভিনেতায় পরিণত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন গতকাল বলেছেন সিঙ্গাপুর নয়, শ্রীলঙ্কাও নয়, বাংলাদেশের মানুষ বেহেস্তে আছে।

মোমেনের উদ্দেশ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নয়, সরকারের বশংবদরা বেহেস্তে আছে, আওয়ামী লীগের ওয়ার্ডের নেতারা এখন কোটিপতি। লাখ, কোটি টাকা লুটপাট করে যারা বিদেশে টাকা পাচার করেছেন, যারা বিদেশে অট্টালিকা তৈরি করেছেন সেই টাকা পাচারকারীরা বেহেস্তে আছেন, তবে সে বেহেস্ত সাদ্দাতের বেহেস্ত। অচিরেই সেই বেহেস্ত ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। মোমেন সাহেব আপনি তো বাজারে যান না, রিকশাওয়ালার কথা শোনেন না, গরিব মানুষের কথা শোনেন না, একটা ডিমের দাম এখন সাড়ে ১২ টাকা, এক হালি ডিমের দাম ৫০ টাকা, এক কেজি ইলিশ কিনতে দুই হাজার টাকা লাগে। সবজি বাজারে এখন আগুন, মানুষ চাল-ডাল-সবজি কিনতে পারছে না। অভাবের তাড়নায় মানুষ সন্তান বিক্রি করছে। জনগণ আপনাদের তৈরি করা আগুনে জ্বলে-পুড়ে মরছে। মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্তরা এখন হাহাকার করছে, এগুলো গণমাধ্যমে উঠছে, যদিও গণমাধ্যম চাপে আছে। তারপরেও অনেক কিছু গণমাধ্যমে উঠে আসছে। গোটা দেশে এখন দুর্ভিক্ষের ছায়া বিস্তার লাভ করেছে। আপনারা বেহেস্তের কথা বলে অহংকার করেন, জনগণের টাকা হরিলুট করে আপনাদের অনেক টাকা, আপনারা বেহেস্তে থাকতে পারেন, কিন্তু জনগণ আপনাদের দুঃশাসনের নরকে আছে। মোমেন সাহেব আপনার এই বক্তব্য ক্ষুধার্ত জনগণের সঙ্গে চরম রসিকতা।

শনিবার (১৩ আগস্ট) নয়াপল্টনে আরাফাত রহমান কোকোর ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে জিয়া মঞ্চ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আপনারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে রাজপথ দখলের হুমকি দেন, যদি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী না থাকে তাহলে আপনারা রাজপথ থেকে ভীত শৃগালের মতো পালিয়ে যাবেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম করে, খুন করে বিচারবর্হিভুত হত্যা করে, দেশের সম্পদ হরিলুট করে, চুরি করে আপনারা অহঙ্কার দেখাচ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া মাঠে নামলে আপনারা তুলার মতো উড়ে যাবেন। আপনাদের দখলে থাকবে রাজপথ আরে যারা জনগণের অধিকার নিয়ে কথা বলে তাদের দখলে থাকবে রাজপথ। আপনারা তো জনগণের অধিকার ডাকাতি করেছেন। আপনি এত বড় কথা বলেন, আপনার নেত্রীকে এক এগারোতে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, কই তখনতো রাজপথে একটি মিছিল করতে পারেননি। ৫০০ লোক নিয়ে রাস্তায় নামতে পারেননি। ১৫ আগস্টের ঘটনার সময় তো আপনি ছাত্র নেতা কই তখন তো আপনি রাস্তায় নামেননি। আপনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে গুলি করে রাজপথ দখলে রাখবেন, যেভাবে গুলি করে নুরে আলমকে হত্যা করা হয়েছে, আব্দুর রহিমকে হত্যা করা হয়েছে। গুলি করে, হত্যা করে, নির্যাতন করে আর জনগণকে দমিয়ে রাখা যাবে না। আপনাদের পতন কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।

আরাফাত রহমান কোকো একজন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক ও নিরহংকার মানুষ ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন রাজনৈতিক কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যখন আন্দোলন করছিলেন, তখন শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে বালুর ট্রাক দিয়ে বন্দী করে রেখেছিলেন মায়ের সে দুর্দিন তাঁর ছোট সন্তান মেনে নিতে পারেননি। সেদিন মানসিকভাবে চাপে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছিল। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাখফিরাত কামনা করেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com