চীন সাগরে বিধ্বস্ত হয়ে পড়া যুদ্ধবিমান উদ্ধারে চেষ্টা মার্কিন নৌবাহিনীর
দক্ষিণ চীন সাগরে বিধ্বস্ত হয়ে পড়া যুক্তরাষ্ট্রের একটি এফ-৩৫সি যুদ্ধবিমান উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে মার্কিন নৌবাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির এই যুদ্ধবিমানের বিধ্বস্ত অংশ যাতে চীনের হাতে না পড়ে, এই লক্ষ্যে উদ্ধার অভিযান প্রচণ্ড গতিতে চালাচ্ছে মার্কিনিরা।
এর আগে গত সোমবার নিয়মিত মহড়া শেষে মার্কিন বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ কার্ল ভিনসনে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে সাগরে পড়ে যায় বিমানটি। তবে তার আগে পাইলট বিমানটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন।
এই ঘটনায় পাইলট ও যুদ্ধ জাহাজে থাকা ছয় নাবিক আহত হয়েছেন বলেন জানায় মার্কিন নৌবাহিনী।
বুধবার মার্কিন সপ্তম বহরের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট নিকোলাস লিঙ্গো সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘ইউএসএস কার্ল ভিনসনে দুর্ঘটনায় পড়া এফ-৩৫সি বিমানটি উদ্ধারের জন্য মার্কিন নৌবাহিনী উদ্ধার অভিযানের ব্যবস্থা করছে।’
তবে দক্ষিণ চীন সাগরের কোথায় যুদ্ধবিমানটি পড়েছে, তা জানায়নি মার্কিন নৌবাহিনী।
এই বিষয়ে চীনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন, পুরো সমুদ্র সীমা দাবির মতোই চীন এই যুদ্ধবিমানের বিধ্বস্ত অংশ দাবি করে বসতে পারে।
হাওয়াইয়ে মার্কিন প্যাসিফিক কমান্ডের জয়েন্ট ইন্টিলিজেন্স সেন্টারের সাবেক অভিযান বিষয়ক পরিচালক কার্ল সুস্টার সিএনএনকে বলেন, ‘চীন তার সাবমেরিন ও গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানকারী সাবমিজারেবলসের সাহায্যে এই যুদ্ধবিমানের খোঁজ ও জরিপ করতে পারে।’
চীন ৩৩ লাখ বর্গ কিলোমিটার (১৩ লাখ বর্গ মাইল) আয়তনের দক্ষিণ চীন সাগরের পুরোটাই নিজের বলে দাবি করে আসছে। চীনা নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড ওই অঞ্চলে তাদের বিপুল উপস্থিতি বজায় রেখেছে। একইসাথে দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন দ্বীপে সামরিক স্থাপনা নির্মাণ ও সৈন্য মোতায়েন করে আসছে দেশটি।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র চীনের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করছে এবং ‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল মুক্ত রাখতে’ এই অঞ্চলে সামরিক অবস্থান নিয়েছে।
সূত্র : সিএনএন