খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রাষ্টীয় নিরাপত্তা হেফাজতে কারারুদ্ধ অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অত্যন্ত গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন,বিএসএমএমইউতে রাষ্টীয় নিরাপত্তা হেফাজতে কারারুদ্ধ অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর বিএসএমএমইউ’র সাবেক সভাপতি ইউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো.সাইফুল ইসলাম আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-র স্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে গত ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে কারারুদ্ধ আছেন। নির্জন কারাগারে বন্দী অবস্থায় অসুস্থ হয়ে সুচিকিৎসার জন্য বার বার চেষ্টা করে অবশেষে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ২০১৯ সালের ১লা এপ্রিল বিএসএমএমইউতে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়ে অদ্যাবধি এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, সরকার খালেদার জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে জনগণকে যা অবহিত করছেন তা বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। কারণ, ইতিমধ্যেই বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যগণ তার সঙ্গে সাক্ষাত করে এসে তার শারীরিক অবস্থার যে সর্বশেষ বর্ণনা দিয়েছেন তা অত্যন্ত ভয়াবহ এবং ভবিষ্যতে পঙ্গুত্বসহ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়। এই ধারণা আরও প্রবল হয় যখন সংবাদ মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে, বেগম খালেদা জিয়া খেতে পারছেন না এবং বমি করছেন। এই ধরনের উপসর্গ এবং লক্ষণ তার স্বাস্থ্যের ক্রমশঃ অবনতিরই ইঙ্গিত বহন করে।
বেগম খালেদা জিয়া দেশের একজন সম্মানীত সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে তার পছন্দমত চিকিৎসা কেন্দ্রে উন্নত চিকিৎসা পাওয়া একটি মৌলিক অধিকার। আমরা মনে করি বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকগণ চিকিৎসা পেশার শপথ সমুন্নত রেখে বেগম খালেদা জিয়ার এই প্রাপ্য অধিকারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।