ওয়ার্ল্ড ইকোনমি ফোরামের রিপোর্টে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের অবস্থান নাজুক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বাধীন দেশের নাগরিকরা নিজ দেশেই এখন যেন পরাধীন। শুধু পরাধীনই নয়, আরো উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এখন ধীরে ধীরে দেশের ভৌগোলিক স্বাধীনতাও হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হয়েছে। তাই এবারের আন্দোলন মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলন। এই আন্দোলনের শ্লোগান, ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ । রোববার
(১৯ জানুয়ারী) স্বাধীনতার ঘোষক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এক এ মালিক, যৌথ ভাবে পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ খান।
বিএনপিসহ বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে এই আন্দোলনর জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, এই আন্দোলন শুধুমাত্র বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন নয়, এই আন্দোলন মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলন, জনগণের বাংলাদেশ জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার আন্দোলন। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, বাক ও ব্যক্তিস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।
এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, প্রায় প্রতিদিন সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে, নানা অজুহাতে ভারত থেকে পুশ ব্যাক চলছে, বাংলাদেশের প্রতিবাদ করার সাহস নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের নামোল্লেখ করে ভারত বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন পাশ করার ফলে বাংলাদেশে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সুতরাং এটি ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয় ভেবে চুপ করে থাকার সুযোগ নেই তারপর এই সত্য কথাটি বাংলাদেশ সাহস করে বলতে পারছেনা। বাংলাদেশ তিস্তা চুক্তি করতে ব্যর্থ হচ্ছে অথচ বছরের পর বছর ধরে ফেনী নদীর পানি নিচ্ছে ভারত। বাংলাদেশের নিজেদের অধিকারের পক্ষে কথা বলার সাহস নেই। বিমানবন্দর তৈরির অজুহাতে বাংলাদেশের জমি দখল করতে চায় ভারত অথচ বাংলাদেশের কোনো প্রতিবাদ নেই.
তারেক রহমান আরো বলেন, পররাষ্ট্রনীতি হওয়া উচিৎ পারস্পরিক স্বার্থ ও মর্যাদার ভিত্তিতে অথচ বাংলাদেশ নির্লজ্জভাবে চালু করেছে স্বামী-স্ত্রীর কূটনীতি। বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিরা নির্যাতিত হচ্ছে, লাঞ্চিত হচ্ছে, সহায় সম্বলহীন অবস্থায় বিদেশ থেকে দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছে, অথচ কিছুই করতে পারছেনা সরকার।বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন বলেন, ভারত নাকি বাংলাদেশের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে, পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই একটি ‘বিশেষ পাশ ইস্যুর মাধ্যমে ৪৮ অথবা ৭২ ঘন্টার জন্য ভারতীয় নাগরিকদেরকে বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ দেয়ার জন্য। তারেক রহমান বলেন, এ ধরণের পরিকল্পনা হবে বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লক্ষ লক্ষ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। এরইমধ্যে দুইবছর অতিবাহিত হওয়ার পরও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে সরকার।
তারেক রহমান বলেন, এখনই বাংলাদেশের স্বার্থের পক্ষে না দাঁড়ায় অস্তিত্ব সংকটে পড়বে দেশ তাই বাংলাদেশ রক্ষায় আন্দোলন ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’।
প্রায় ৩৫ মিনিটের বক্তৃতায় তারেক রহমান, ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে অবৈধ সরকার গঠন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমি ফোরামের রিপোর্টে বাংলাদেশের অর্থ-সামাজিক প্রায় সকল ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের নাজুক অবস্থান, দুর্নীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল।
যুক্তরাজ্য বিএনপি সহ, বিএনপির সকল অঙ্গসংঠনের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।