নাশকতা মামলায় খন্দকার মাহবুবসহ ৭২ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল
রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা নাশকতা ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগের মামলায় প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুর রেজাক খান, কণ্ঠশিল্পী মনির হোসেনসহ ৭২ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১১ জুলাই ধার্য করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকা মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর ছিদ্দিকের আদালতে এ মামলার কোনো সাক্ষী হাজির না হওয়ায় আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে দেন। এর আগে গত ১০ মে এ মামলায় খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ ৭২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বিএনপি নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিতায় রায় চৌধুরী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, আইনজীবী ফেরদৌস আক্তার ওয়াহিদা ও তৌহিদুল ইসলামসহ মোট ৭২ জন।
এ বিষয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, নাশকতা ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়াসহ পাঁচ থেকে সাতটি অভিযোগে পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে এই গায়েবী মামলা দায়ের করে। আমি আদালতে বলেছি, আমিসহ এ মামলার অন্যান্য আসামিরা সম্পূর্ণ নির্দোষ। রাজনৈতিক উদ্দেশে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ মামলা করা হয়েছে।
খন্দকার মাহবুব হোসেনের পক্ষে আদালতে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রানা। তিনি বলেন, বুধবার এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তবে আদালতে কোনো সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে ১১ জুলাই ধার্য করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ পাঁচজন আইনজীবীর পক্ষে গত ১২ জুন এই মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছি। যা শুনারির অপেক্ষায় রয়েছে।
২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার বিরুদ্ধে এবং তার মুক্তি চেয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল করে। মিছিলের সময় নাশকতা ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় এ মামলা করা হয়। খন্দকার মাহবুবসহ ৭২ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়। এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে নিম্ন আদালতে নিয়মিত হাজিরা দেন খন্দকার মাহবুবসহ অন্য আসামিরা। পুলিশ তদন্ত করে ২০১৯ সালে এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করে।