সরকারের ভাণ্ডারে কী পণ্য কতটুকু মজুদ, এগুলোর প্রতি সব সময় নজর রাখতে হবে
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ও বিনিময়ের হার আমাদের জন্য সত্যিই উদ্বেগজনক। এর ফলে পুরো অর্থনীতিতে চাপ তৈরি হয়েছে। ডলারের দাম নিয়মিতভাবে পর্যালোচনার পাশাপাশি সংকট কাটাতে আমদানিতে লাগাম টানতে হবে। কী আমদানি হচ্ছে, তা তদারকি করতে হবে। প্রয়োজনে কিছু পণ্য আমদানি বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছু যেন অপব্যবহার বা অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার না হয়। সেদিকে নজর রাখতে হবে। অর্থ পাচার ঠেকাতে নানামুখী উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যাংকঋণ কোথায় ব্যবহৃত হলো, তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, ব্যাংকের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। নানামুখী পদক্ষেপ নিলে সংকট কাটিয়ে উঠতে ওঠা যাবে। তিনি আরও বলেন, ইদানীং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য পণ্য, যেমন সেবা, পরিবহন ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে। বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে দেশেও দাম বাড়বে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যে হারে আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়ছে, সে হারের চেয়ে দেশীয় বাজারে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে বেশি। দেশীয় পণ্যের ক্ষেত্রে সরবরাহের প্রক্রিয়ায় পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার মধ্যে কিছুটা যোগসাজশ থাকতে পারে। পণ্যের চাহিদা, সরবরাহ, মজুদ, আমদানি এবং সরকারের ভাণ্ডারে কী পণ্য কতটুকু মজুদ, এগুলোর প্রতি সব সময় নজর রাখতে হবে।