ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন
বিদায়ের আগে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। শীর্ষ এই কূটনীতিক জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় সফর শেষে প্যারিসে পৌঁছেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এটিই তার শেষ সফর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
প্যারিস সফরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে দেখা করবেন ব্লিঙ্কেন। সেখানেই এক অনুষ্ঠানে তার হাতে তুলে দেওয়া হবে লিজিয়ঁ দ্য অনারের গ্র্যান্ড ক্রস।
এই সম্মাননা ব্লিঙ্কেনের কাছে বিশেষ মর্মস্পর্শী হবে বলে মন্তব্য করেছে টাইমস অব ইসরাইল। ব্লিঙ্কেন সাবলীলভাবে ফরাসি ভাষা জানেন, প্যারিসে তার শৈশবের কিছু অংশ কাটিয়েছেন এবং তার বিশ্বদর্শন গঠনে ফ্রান্সের ভূমিকার কথা বলেছেন আগে।
সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিষয়ে আলোচনার জন্য ব্লিঙ্কেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারোটের সাথেও দেখা করবেন। যেখানে ইসলামপন্থি নেতৃত্বাধীন বাহিনী গত মাসে দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদের পতন নিশ্চিত করে।
ব্লিঙ্কেন এমন এক সময়ে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ পুরস্কার পাচ্ছেন, যখন মধ্যপ্রাচজুড়ে অস্থিরতা চলছে। ইতিহাসের সবচেয়ে নির্মম পরিস্থিতির মুখোমুখি ফিলিস্তিনির গাজার বাসিন্দা। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত অবরুদ্ধ উপত্যকায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৪৫ হাজার ৮৮৫ ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১০ হাজারের মতো মানুষ।
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির আলোচনার জন্য গত এক বছরে অন্তত ১০ বার মধ্যপ্রাচ্য সফর করেছেন ব্লিঙ্কেন। কিন্তু তার মেয়াদ শেষের আগ পর্যন্ত এখনও এই প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি। লেবাননে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও, পুরো সংকট এখনও কাটেনি।
এছাড়া বাশার আল-আসাদের পতনের পর, সিরিয়াজুড়ে নিরলস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। সীমান্ত বাফার জোন ডিঙিয়ে ইসরাইলি সেনারা ১৯৭৪ সালের ৫০ বছরের পুরনো চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
চলতি মাসের ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের পরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে বসবেন মার্কো রুবিও। ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেবে, তাই এখন দেখার বিষয়।