অ্যাম্বারকে চুলের মুঠিতে ধরে মেরেছেন জনি, আদালতে বোনের সাক্ষ্য
বিচ্ছেদের পর প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনছেন মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। বিশেষ করে আদালতে জনির বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলার কথা বারবার বলে আসছেন এই অভিনেত্রী।
এবার আম্বার হার্ডের স্বাক্ষের পর তার বোন হুইটনি হেনরিকেজ আদালতে জনি ডেপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন । হুইটনি জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে একদিন এই জুটির ঝগড়া-তর্কের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। তিনি এও জানান যে, জনি ডেপ সেদিন অ্যাম্বার হার্ডকে চুলের মুঠি টেনে ধরে মুখে আঘাত করেছিলেন!
অ্যাম্বার হার্ড ও জনি ডেপ সেদিন কিভাবে একে অপরকে চিৎকার করে গালাগাল করছিলেন, তাও বর্ণনা করেছেন হুইটনি। এমনকি ডেপ সেদিন সিঁড়িতে দৌড়ে গিয়ে হুইটনিকে পিঠে আঘাত করেছিলেন বলে দাবি তার। এরপর অ্যাম্বার হার্ড চেঁচিয়ে ওঠেন, “খবরদার! তুমি আমার বোনের গায়ে হাত তুলবে না।”
হুইটনি বলেন, ‘জনি হার্ডকে চুলে ধরে টেনে আনে এক হাতে, আরেক হাতে ওর মুখে মারতে থাকে। আমি সেখানেই দাঁড়ানো ছিলাম।’
সেসময় নিরাপত্তা প্রহরী তাদের ছাড়িয়ে আনে এবং পরে হুইটনি অ্যাম্বার হার্ডকে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। বাইরে দাঁড়িয়ে জনি ডেপ চেঁচাতে থাকেন, ‘আমি তোমাকে ঘৃণা করি, তোমাদের দুজনকেই ঘৃণা করি, তোমরা নরকে যাও।
‘সিঁড়ির ঘটনা’ বলে পরিচিত, সেদিনের ঝগড়ার বিষয়ে ২০২০ সালেও যুক্তরাজ্যের আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন হুইটনি। সেদিন বিচারক জনি ডেপকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন।
তবে জনি ডেপও পাল্টা অভিযোগ করেছিলেন সেদিনের ঘটনা নিয়ে। অভিনেতার দাবি, অ্যাম্বার হার্ডও তাকে সেদিন বেশ জোরেশোরেই ঘুষি মেরেছিলেন। নিজের মুখে আঘাতের দাগের ছবিও দেখিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অ্যাম্বার হার্ডের বোনকে মারার কথা স্বীকার করেননি তিনি।