পাঁচ দিনের ব্যবধানে ৪ অভিনেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু!
ভারতীয় তারকাদের রহস্যজনক মৃত্যুর তালিকা বেড়েই চলছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে তিনজন অভিনেত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া একজন অভিনেত্রীর ওজন কমানোর অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
পাঁচ দিনের ব্যবধানে এই চারজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গেল শুক্রবার (১৩ মে) শাহানা, রোববার (১৫ মে) পল্লবী, সোমবার (১৬ মে) চেতনা রাজ ও মঙ্গলবার (১৭ মে) শেরিন মারা যান।
সবশেষে এই তালিকায় যুক্ত হয় দক্ষিণী অভিনেত্রী শেরিন সেলিন ম্যাথিউর নাম। এ অভিনেত্রীর নিজ ফ্ল্যাটেই পাওয়া যায় তার ঝুলন্ত মরদেহ। ২৬ বছর বয়সী এই মডেল একজন রূপান্তরিত নারী ছিলেন। পাঁচ বছর ধরে কেরালায় বাস করছিলেন তিনি।
জানা যায়, মঙ্গলবার (১৭ মে) সকালে শেরিনের রুমমেটরা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পায় তাকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের নিকট তারা জানায়, কয়েকদিন ধরে বন্ধুদের সঙ্গে বাদানুবাদ চলছিল তার। এ কারণে বিষন্নতায় ভুগছিল সে।
তথ্য পেয়ে ভারতীয় পুলিশ তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের (যাদের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল) জবানবন্দি গ্রহণ করেছে। পুলিশ শেরিনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত চলছে। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, শেরিন আত্মহত্যা করেছেন।
এর আগে অভিনেত্রীদের এই রহস্যজনক মৃত্যুর মিছিল শুরু হয় শুক্রবার (১৩ মে) কেরালার মডেল এবং মালায়লাম অভিনেত্রী সাহানার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের মধ্য দিয়ে। তবে সাহানার পরিবারের দাবি, আত্মহত্যা নয়, হত্যা করা হয়েছে তাকে।
এরপরই রোববার (১৫ মে) ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় কলকাতার জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী পল্লবী দের ঝুলন্ত মরদেহ। তবে পল্লবীকে হত্যা করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে সে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে পল্লবীর প্রেমিক সাগ্নিককে।
এদিকে, সোমবার (১৬ মে) অস্ত্রোপচার করে মেদ কমাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে কন্নড় টেলিভিশন অভিনেত্রী চেতনা রাজের। ২১ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী পরিবারকে না জানিয়ে শেট্টি কসমেটিক হাসপাতালে ফ্যাট সার্জারির জন্য ভর্তি হয়েছিলেন। এই ফ্যাট সার্জারির কারণে তার ফুসফুসে পানি জমে যায়, তার পরেই অবস্থার অবনতি হয়ে মৃত্যু হয়।
চেতনার বাবার অভিযোগ, ফ্যাট সার্জারির জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং পরিবারের থেকে সম্মতি না নিয়েই চিকিৎসক এই সার্জারি করেছিলেন। চিকিৎসকের ভুলের কারণেই তাদের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। তাই সুব্রহ্মমনিয়ানগর পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।