দেশে জবাবদিহিমূলক সরকার নেই বলেই নানা ক্ষেত্রে চলছে চরম নৈরাজ্য: রিজভী
দেশে সোয়াবিন তেলের সংকট সরকারের কারণেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, দেশে জবাবদিহিমূলক সরকার নেই বলেই নানা ক্ষেত্রে চলছে চরম নৈরাজ্য। ঈদ-যাত্রায় সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে অসহনীয় দুর্ভোগ।
সোমবার সকালে শেরেবাংলা নগরে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার পর এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘আজকে যদি কোনো জবাবদিহিমূলক সরকার থাকতো, একাউন্টেবিলিটি থাকতো তাহলে এমনটা (সোয়াবিন তেলের সংকট) হতো না। জবাবদিহি সরকার হলে তারা মার্কেট ইন্টারভেশন করতেন, সোয়াবিন তেলের যারা সিন্ডিকেট করছে, যারা কালোবাজারী করছে তাদেরকে গ্রেফতার করতেন। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ, মধ্য আয়ের মানুষ, স্বল্প আয়ের মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যেমন সোয়াবিন তেল, চাল, ডাল, আটা যেগুলো খুবই প্রয়োজনীয় বেঁচে থাকার জন্য দরকার সেইসব জিনিসপত্রের দাম লাগামহীনভাবে বাড়তো না। এটার অন্যতম কারণ হচ্ছে উন্নয়নের নামে যে টাকা পাচার হচ্ছে, ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি। এই ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতির কারণে এই স্বল্প আয়ের মানুষ, শ্রমিকদের কোনো আয় বাড়েনি, তাদের আয় বাড়েনি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রমজান মাস জুড়ে বিএনপির নেয়া ধারাবাহিক কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন রিজভী।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, শ্রম বিষয়ক সহ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, শ্রমিক দলের আবুল খায়ের খাজা, মুস্তাফিজুল করীম মজুমদার, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে রিজভী জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
ঈদযাত্রায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষদের দুর্ভোগে পোহাতে হয়েছে। অত্যন্ত কষ্টে তাদেরকে ঈদ পালন করতে হচ্ছে। এমনিতেই তো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে অভিঘাত সেই অভিঘাতে ক্ষত-বিক্ষত এদেশের সাধারণ মানুষ।
তিনি বলেন, তার উপরে ঈদে মানুষ কেনা-কাটা করে, সন্তান-সন্ততিসহ আত্মীয়-স্বজনদের নতুন জামা-কাপড় দেয়, সেই জামা-কাপড় কেনার উপায় কতটুকু ছিলো নিম্ন-মধ্য আয় ও স্বল্প আয়ের মানুষদের? সবাই শ্রমিক, এরা শ্রমজীবী মানুষ– এদের প্রত্যেকের বাসায় কিভাবে ঈদ হচ্ছে আমরা জানি না। এরা তাদের সন্তান বা নিকট আত্মীয়দের ঈদ উপহার দিতে পেরেছেন কিনা এটা আমার জানা নেই।
ঘরমুখো মানুষজন বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষরা ‘কষ্টে’ বাড়ি যেতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।