ইসরাইলের বাড়াবাড়ি আর সহ্য করা হবে না: ইরান
মঙ্গলবার ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের ক্রমাগত অপরাধ আর সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেইন বাঘেরি।
গত দুই মাসে তেহরানকে কঠিন সময় পার করতে হয়েছে জানিয়েছেন বাঘেরি। তার মতে, ইসমাইল হানিয়াহ হত্যাকাণ্ডের পরও গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য ইরান সংযত ছিল।
বাঘেরি বলেন, ‘গত দুই মাস ইরানি জাতি এবং আমাদের মিত্রশক্তির জন্য অত্যন্ত কঠিন সময় ছিল। কিন্তু ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে একের পর অপরাধ বৃদ্ধি করেছে’।
বাঘেরি আরো বলেন, ‘ইসরাইলের ঘৃণ্য আচরণ সত্ত্বেও, ইরান শুধুমাত্র তেল আবিবের সামরিক কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে’। এছাড়া এই হামলায় তেহরান লক্ষ্য অর্জন করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
ইসরাইলের হামলার বিস্তৃতি নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘মোসাদের সদর দপ্তর, নেভাটিম এয়ারবেস এবং হ্যাটজেরিম এয়ারবেসকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এছাড়া, এই অভিযানে, গাজার আশেপাশের অঞ্চলে কৌশলগত রাডার, পাশাপাশি ট্যাঙ্ক, কর্মী বাহক এবং ইসরাইলের গোয়েন্দা কেন্দ্রগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, যা গাজার জনগণের গণহত্যার জন্য দায়ী ছিল’।
বাঘেরি বলেন, ‘এই অভিযানে ইসরাইলের অর্থনৈতিক ও শিল্প অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। তাদের সাধারণ জনগণকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি, যদিও এটি সম্পূর্ণ সম্ভব ছিল।’
বাঘেরি সতর্ক করে আরো বলেন, ‘ইসরাইল সরকার, উন্মাদনার স্তরে পৌঁছেছে। যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রিত না হয় এবং এই ধরনের অপরাধ চালিয়ে যেতে বা আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায়, তাহলে আজকের রাতের অভিযানটি আরও বড় আকারে পুনরাবৃত্তি হবে। পূর্ণমাত্রায় তাদের সব অবকাঠামোতে আঘাত করা হবে’।