যে ৫ মর্যাদা রোজাদার ছাড়া কেউ পাবে না
মুমিন মুসলমানের জন্য বিশেষ পুরস্কার প্রতিদান ও মর্যাদা পাওয়ার মাস রমজান। উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য এ মাসে বিশেষ ৫টি মর্যাদা পাওয়ার ঘোষণা এসেছে; যা অন্য কোনো নবি-রাসুলের উম্মতকে দেওয়া হয়নি। রোজাদারের জন্য নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশেষ ৫ মর্যাদার কথা ঘোষণা করেছেন। কী সেই ৫ মর্যাদা?
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রত্যেকটি আমল বাড়ানো হয়। আর তাদের প্রতিটি নেকি দশ থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হবে। তবে রোজা ছাড়া। কেননা রোজা শুধু আমারই জন্য রাখা হয় আর আমিই এর প্রতিদান দেব। বান্দা আমার জন্যই তার কামনা-বাসনা ও খাওয়া-পান করা ত্যাগ করে। রোজাদারের দুইটি আনন্দ। একটি- ইফতার করার সময় আর অপরটি- কেয়ামাতে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়। যার হাতে মুহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জীবন, তাঁর কসম! রোজাদারের মুখের গন্ধ কেয়ামাতের দিন আল্লাহর কাছে মেশক আম্বরের চেয়েও বেশি খোশবুদার হবে। (বুখারি ও মুসলিম)
রোজাদারের জন্য চমৎকার এ ঘোষণার পরও রয়েছে বিশেষ ৫ পুরস্কারের সুসংবাদ। যা অন্য কোনো নবি-রাসুলের উম্মতকে দেওয়া হয়নি। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মতকে এমন পাঁচটি বিষয় দান করা হয়েছে, যা আগের কোনো উম্মতকে দেওয়া হয়নি। আর তাহলো-
১. রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশক আম্বরের চেয়ে উত্তম।
২. রোজাদারের প্রতি আল্লাহ এত বেশি খুশি হন, তার কোনো কিছুই আল্লাহর কাছে মন্দ লাগবে না।
৩. রোজাদার আল্লাহর কাছে অতিপ্রিয় হন বলেই তার (রোজাদারের) সব কাজই আল্লাহর প্রিয় হয়ে যায়।
৪. রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা রহমতের দোয়া করতে থাকেন। (যা সাহরি করার পর থেকেই শুরু হয়)
৫. রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা জান্নাতকে প্রতিদিন নতুন করে সাজাতে থাকেন।
সুতরাং বিশেষ মর্যাদা পেতে মুমিন মুসলমানের উচিত, যথাযথ হক আদায় করে রমজানের রোজা পালনে মনোযোগী হওয়া। কোরআন নাজিলের বরকতময় মাসে নিজেদের গুনাহমুক্ত নিষ্পাপ হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা করা। রোজা পালনের মাধ্যমে বান্দার জীবনে মহান আল্লাহ তাআলা বিশেষ বিশেষ গুণের বাস্তবায়ন করা জরুরি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ঘোষিত পুরস্কার ও মর্যাদা পাওয়ার তাওফিক দান করুন। যথাযথভাবে রোজা পালন করার তাওফিক দান করুন। রমজানের রোজার পবিত্রতা, তাৎপর্য ও মহত্ব বজায় রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।