‘আওয়ামী লীগ বারবার ইতিহাস বিকৃত করেছে’

0

আওয়ামী লীগ বারবার ইতিহাস বিকৃত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গতকাল রোববার (২৭ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর পলোগ্রাউন্ড ময়দানে ‘মুক্তিযুদ্ধের সূচনা সমাবেশে’ এ মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন। ইচ্ছে করলেই জিয়াকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না।

এসময় পুলিশকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পুলিশ জনগণের সেবক। আওয়ামী লীগ আজীবন ক্ষমতায় থাকবে না। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এখন আর কার ওপর নিষেধাজ্ঞা আসে তা দেখার বিষয়। তাদের নির্দেশে গুম-খুন হয়েছে। এখন জনগণের নিষেধাজ্ঞা আপনাদের ওপর আসবে। এই নিষেধাজ্ঞা লজ্জার।

তিনি আরও বলেন, এ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। দিনের ভোট নেয় রাতে। ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সরকার গঠন করেছে। এখন সময় এসেছে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আওয়ামী লীগ সরকার ডিগবাজি খেয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা বলেছে রাশিয়ার যুদ্ধে ভোট দেবে না। কয়দিন আগে আমেরিকা থেকে ধমক খেয়ে ইউক্রেনকে ভোট দিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, এ সরকার ৩৫ লাখ মানুষের নামে মামলা দিয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম-খুন করা হচ্ছে। মামলা-গুম-খুন করে জনগণকে দমিয়ে রাখা যাবে না।

এদিন সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ২০০৮ সালের জরুরি সরকার তাদের নিজেদের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে তারা ক্ষমতা দখল করেছে। অবৈধ সরকারের নানা কর্মকাণ্ডে মানুষ আজ হতাশ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ দিশেহারা। এই সরকার দ্রব্যমূল্য কমাতে পারবে না। কারণ তারা নিজেরাই সেই মুনাফা থেকে লুটপাটে ব্যস্ত।

মোশাররফ বলেন, আমরা যেতে চেয়েছিলাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে কিন্তু আওয়ামী লীগ ভয় পেয়ে আমাদের যেতে দেয়নি। সরকারের পেটুয়া বাহিনী আমাদের বাধা দিয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল। আজ যখন ইতিহাসের সত্যগুলো বলতে যাই, আওয়ামী লীগের গায়ে জ্বালা উঠে। স্বাধীনতার পর দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছিল, দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, রক্ষীবাহিনী তৈরি করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল। আর সেখানে বিএনপি সফল হয়েছিল।

এছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা আজ লক্ষ লোক নিয়ে পলোগ্রাউন্ডে সমাবেশ করছি। আর তারা ২ থেকে ৩শ লোক নিয়ে বেতারকেন্দ্রের সামনে বসে আছে। এই চট্টগ্রামে বেগম খালেদা জিয়া তিন লাখ লোক নিয়ে সমাবেশ করেছিলেন। শেখ হাসিনা এক লাখ লোকও আনতে পারেননি। লালদিঘীর ময়দানে বিএনপি লাখো মানুষ নিয়ে সমাবেশ করেছিল। আওয়ামী লীগ ৩শ লোক নিয়ে করেছিল। বিএনপির সমাবেশ দেখে তারা এখন লালদিঘীর মাঠই বন্ধ করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ শুধু মুক্তিযুদ্ধকে বেচাকেনা করে, তাদের কোনো ইতিহাস নেই। তাদের ইতিহাস পালিয়ে পাশের দেশে আশ্রয় নিয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com