স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার অপতৎপরতা এখনও বিদ্যমান: তারেক রহমান

0

স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার অপতৎপরতা এখনও বিদ্যমান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবদীপ্ত হিরন্ময় সোনালী দিন। লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমাদের শপথ হোক গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা পুণরুদ্ধার এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার। এ দিনে বিশ্ব মানচিত্রে দেশমাতৃকার স্বাধীন সত্ত্বা প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর আমাদের মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর তথা সূবর্ণ জয়ন্তী। আজকের এই দিনে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

 

তিনি বলেন, এ মহান দিনে আমি শ্রদ্ধা জানাই স্বাধীনতা-যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ সকল জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি আমি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। স্মরণ করি সেইসব বীর সন্তানদের অবদানের কথা, যাদের নয়মাস জীবন মরণ লড়াইয়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সে সব মা-বোনদের কথা, যারা মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
এ দিনে দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর ঐতিহাসিক ঘোষণায় দিকভ্রান্ত জাতি পেয়েছিল মুক্তিযদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অভয়মন্ত্র। ফলে দীর্ঘ নয়মাস ইতিহাসের এক ভয়ংকর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর দেশমাতৃকা মুক্তি লাভ করে।

 

তারেক রহমান বলেন, একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। নানা কারণে আমরা সে লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হইনি। বার বার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। বর্তমান ক্ষমতাসীনদের কারণে ভোট, নির্বাচনসহ দেশে স্থিতিশীল প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। দেশি-বিদেশী চক্রান্তের ফলে আমদের গণতান্ত্রিক পথচলা বারবার হোঁচট খেয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াই বারবার অবিচল আপোষহীন আন্দোলনে গণতন্ত্রকে স্বৈরশাহীর লোহার খাঁচা থেকে অর্গলমুক্ত করেছিলেন। গণতন্ত্রের সেই অবিসংবাদিত নেত্রী এখন বন্দী। জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের প্রচেষ্টা বেগবান করতে হবে, শক্তিশালী করতে হবে আমাদের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বকে।

 

তিনি আরও বলেন, লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার অপতৎপরতা এখনও বিদ্যমান। সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্ত প্রতিহত করে মাতৃভূমির স্বাধীনতা সুরক্ষা এবং গণতন্ত্রের নুয়ে পড়া পতাকাকে সমুন্নত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এজন্য গড়ে তুলতে হবে সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আজ দেশবাসীর প্রতি আমি এ আহবান জানাই।
আমি দেশবাসী সকলের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা জানাই।
তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com