এবার ছলচাতুরি করে আওয়ামীলীগ সরকারের শেষ রক্ষা হবে না: নজরুল

0

দেশে গণতন্ত্র, সামাজিক মর্যাদা ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘এবার ছলচাতুরি করে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।

গতকাল বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের দোতলায় সেমিনার কক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ বৃহত্তর দিনাজপুরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা মরহুম শফিউল আলম প্রধানের স্মরণে ও স্বাধীনতার মূলমন্ত্র গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় করণীয় শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাগপা।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘মরহুম শফিউল আলম প্রধান ছিলেন অত্যন্ত সাহসী ও বীরত্বপূর্ণ নেতা। তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ২৩ মার্চ বৃহত্তর দিনাজপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন। যদিও সেদিন ছিল পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন দিবস। শফিউল আলম প্রধান সেদিনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার নিজ জেলা দিনাজপুরে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। অথচ তখনও পাকিস্তান বাহিনী সক্রিয়। কিন্তু আমরা সেদিনটাকে মনে রাখিনি। ’

তিনি বলেন, শুধু কী তাই জাতি তো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কথাও মনে করতে পারে না। কিন্তু সে তো ইতিহাস। স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে মওলানা ভাসানী বা শেখ মুজিবুর রহমানের ভুমিকা কী অস্বীকার করা যাবে? যুদ্ধকালীন সময় জিয়াউর রহমানের অবদান কী করে ভোলা যায়?

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বের কোনো দেশে নয় মাসের যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে? লাখ লাখ নারী তাদের ইজ্জত সম্ভ্রম হারিয়েছেন? যেখানে স্বাধীনতার ঘোষকের অবদান স্বীকার করা হয় না। যেখানে শফিউল আলম প্রধানের কথা তো পরে! আজকে ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে! এখন তো আওয়ামী লীগ ছাড়া কারো কিছুই স্বীকার করা যায় না। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে তাদের কয়জন লোক অংশ নিয়েছিল? আজকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হয়, অথচ সেখানে যুদ্ধের সময় যিনি মুখ্যমন্ত্রী, সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন বা মুজিবনগরে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক ইউসুফ, বীরশ্রেষ্ঠ বা বীর উত্তম ও বীর বিক্রমদের সম্মান জানানোর কোনো আয়োজন নয়। শুধু একজনকে সম্মান জানানোর আয়োজন। ’

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন জিনিসপত্রের দাম এমন যে, হালাল উপার্জন করে খেয়ে পড়ে টিকে থাকা দায়। তার ওপর তেল-গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। তারা (সরকার) বলছে বিশ্ববাজারে দাম বেড়েছে। তো বিশ্ববাজারে যখন দাম কমে তখন কী আপনারা দাম কমান? দাম বাড়ার আগেই যে বাড়তি দামে বিক্রি করেছেন তাহলে সেই টাকা ভর্তুকি দেন। কিন্তু তারা তা করে না। কারণ সরকারের লোকরা দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে মিশে আছে। তারা তাদের থেকে ভাগ পায়। এমতাবস্থায় আমাদেরকে শফিউল আলম প্রধানের মতো সংগ্রামী মানসিকতা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com