বিমানের টিকিট সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সোচ্চার রেমিট্যান্স যোদ্ধারা
বাহরাইন ও দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রুটে বিমান টিকিট সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছেন প্রবাসে থাকা রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। টিকিট অরাজকতায় তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকে ঋণে জর্জরিত। ফলে যারপরনাই তারা ক্ষুব্ধ। তাই তারা এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ সভা করছেন। গত ১৭ মার্চ বাহরাইনের মহাররকে আল ওসরা রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ ইয়াং অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে টিকিট সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি নাজির আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম সাইফ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাংবাদিক ফোরাম বাহরাইনের সভাপতি বশির আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাজহারুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশ সাংবাদিক ফোরাম বাহরাইনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের মজুমদার, বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাব বাহরাইনের সভাপতি আল আমিন মোহাম্মদ, সামাজিক সংগঠন উই কেয়ারের ফাউন্ডার সবুজ মিলন, বাংলাদেশ ইয়াং অ্যাসোসিয়েশন বাহরাইনের উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম নূর, সহসভাপতি মো: মোজাম্মেল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব আল রাশিদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবচেয়ে বড় অবদান মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করা প্রবাসীদের। পরিবার পরিজন ছেড়ে পরদেশে স্বল্প বেতনে কাজ করে এসব প্রবাসী রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন।
অথচ দু-তিন বছর পর ছুটিতে গিয়ে তাদের সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হতে হয় নিজ দেশে, নিজ দেশের মানুষের দ্বারা। করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যগামী যাত্রীরা সবচেয়ে বড় হয়রানির শিকার হচ্ছেন বিমান টিকিট নিয়ে। টিকিটের উচ্চ মূল্যের কারণে স্বল্প বেতনে চাকরি করা প্রবাসীরা ঋণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে টাকার ব্যবস্থা করতে না পারায় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে দেশে আটকা পড়ে গেছেন।
বক্তারা এর প্রতিকার চেয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে এয়ারলাইন্সের টিকিট বিপণন ব্যবস্থা তদারকি এবং বিমান টিকিট সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।