বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, সড়ক অবরোধ
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের আটক করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটকদের নাম জানা যায়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ অ্যান্ড অপারেশন) নিহাদ আদনান তাহিয়ান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ধর্ষকদের গ্রেফতার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার পর থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া নামক স্থানে অবরোধ করছেন শিক্ষার্থীরা। ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে আটকের পর অবরোধস্থলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গ। তারা শিক্ষার্থীদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু সন্দেহভাজন নয়; সুনির্দিষ্ট অপরাধীরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী তার বন্ধুর সঙ্গে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগ এলাকার হেলিপ্যাডের সামনে থেকে হেঁটে আসছিলেন। পথিমধ্যে এক অটোরিকশা থেকে তাদের তুলে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৭-৮ জন মিলে তাদের গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল ও কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে থাকা সহপাঠীকে তারা মারধর করে এবং তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
এ খবর পেয়ে ধর্ষকদের গ্রেফতারের দাবিতে বশেমুরবিপ্রবি ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষুব্ধ প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদর থানায় অবস্থান করেন এবং ধর্ষকদের বিচার চেয়ে ৩ দফা দাবি ও আল্টিমেটাম প্রদান করেন।
আল্টিমেটামে সকাল ৬টার মধ্যে অপরাধীকে শনাক্ত এবং গ্রেফতারের দাবি জানান বিক্ষুপ্ত শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে ধর্ষকদের গ্রেফতার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সকাল সাড়ে ৬টার পর থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া নামক স্থানে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে অবরোধ করছেন শিক্ষার্থীরা।