আইনমন্ত্রীসহ দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি বিএনপির

0

ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সরকারের বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি করেছে বিএনপি।

মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি এই কর্তৃত্ববাদী অবৈধ সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের টেলিফোন কনভারসেশন (কথোপকথন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সকল গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। যাতে এই সরকারের দুর্নীতির একটি প্রকৃতচিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। মন্ত্রী ও উপদেষ্টার বক্তব্যের মাধ্যমে তা স্বীকৃত প্রমাণ। তাই জাতির কাছে বিষয়টি আজ এটি একটি প্রমাণিত সত্যের দলিল।

তিনি বলেন, আলোচ্য টেলিফোন আলাপে সংশিষ্ট দুই নেতাকে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে শোনা গেছে। সেখানে বলতে শোনা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও উপদেস্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের একটি প্রজেক্ট ইনফো নিয়ে জানতে চেয়েছেন সালমান এফ রহমান। জবাবে তা পাস করে দিয়েছেন বলে জানান আইন মন্ত্রী। বিষয়টি টেন্ডারে হবে কী না তাও জানতে চান উপদেষ্টা। তার মতে, এটা জয়ের প্রজেক্ট। এটা টেন্ডার ছাড়াই হতে পারে বলে তিনি সুপারিশ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ইতি মধ্যেই বিএনপিসহ দেশবাসী এ ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে। কিন্তু সরকার এখনও নির্বাক ও নির্বিকার।

এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি আবারও দাবী করছে, দুর্নীতি নিয়ে সরকারের দুই ক্ষমতাধরের কথোপকথন অস্বীকার না করে আইনমন্ত্রী তা যেহেতু  স্বীকার করে নিয়েছেন। তাই এ ঘটনা কালবিলম্ব না করে অবশ্যই তা তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে হবে। যা একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি তথা দেশবাসী মেনে নিতে পারে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে বিচার বিভাগকে জড়িয়ে ফেলার স্বীকৃত অপরাধকে আলাদা ভাবে বিবেচনায় নেবার দাবি জানাচ্ছে  বিএনপি। তদন্ত প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার জন্য বিএনপি এই মুহূর্তে  আইনমন্ত্রী, বিনিয়োগ  উপদেস্টা ও তথ্যপ্রযুক্তি  উপদেষ্টাসহ এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের পদত্যাগ দাবি করছে। অবিলম্বে তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারে মুখোমুখি দাঁড় করানোর জোড় দাবি জানাচ্ছে  বিএনপি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশ বাসীর কাছে আজ স্পস্ট যে দেশে এখন দুর্নীতির এক মহোৎসব চলছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই চলমান এই লুটপাট আর দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোশকতা করা হচ্ছে। মন্ত্রী এমপি ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেস্টা, ক্ষমতাসীন দলের মেয়র চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে এমন কোন ব্যক্তি নেই যে দুর্নীতির সুযোগ নিচ্ছে না। রাস্ট্রীয় বাহিনী সমূহের কতিপয় উর্ধতন কর্মকর্তাসহ গোটা প্রশাসনকে অংশীদার করা  হয়েছে দুর্নীতির এই চক্রের। সংবিধান ও রাষ্ট্রের অভিভাবক খোদ বিচার বিভাগকেও এখন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। দুর্নীতিতে যুক্ত হয়ে সরকারি দলের লোকেরা এখন দিকবিদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে পরেছে। নিজেদের অপকর্ম এখন এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে শত চেষ্টা করেও আর তা তারা চেপে রাখতে পারছে না। কোন না কোন উপায়ে তা প্রকাশ্যে জনসমক্ষে চলে আসছে। ভেসে বেড়াচ্ছে ভার্চুয়াল জগতে। ফাঁস হয়ে যাচ্ছে নানান অপকর্মের কুৎসিত চিত্র। খসে পড়ছে মহাদুর্নিতীবাজদের মুখোশ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com