ফিরছেন ক্যাসিনো হোতারা, লড়ছেন নির্বাচনেও
নানা হাঁকডাক করে যে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছিল তা থমকে গেছে। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই অভিযান। যদিও সরকারের শীর্ষ মহল থেকেই অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি করা হয়েছিল।
এদিকে ক্যাসিনো–টেন্ডারবাজি–আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপরাধের এই অভিযান থমকে যাওয়ায় এই সব ঘটনায় আলোচিত ব্যক্তিরা এখন দেশে ফিরছেন। অভিযানের সময় যাদের অনেকেই বিদেশে অবস্থান করছিলেন বা চলে গিয়েছিলেন।
এবিষয়ে শীর্ষ মহলের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারোয়ার–বিন–কাশেম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘র্যাবকে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। র্যাব তার দায়িত্ব পালন করেছে। ঢাকা শহরে এখন আর কোনো ক্যাসিনো চলছে না।’
এর বাইরে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হওয়ায় এরই মধ্যে দেশে ফিরেছেন যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম মমিনুল হক ওরফে সাঈদ, যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য মিজানুর রহমান ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শেখ রবিউল ইসলাম।
এর মধ্যে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মমিনুল হক ওরফে সাঈদ ক্যাসিনো কাণ্ডের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তি। রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা মতিঝিলের এই প্রভাবশালী নেতা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় কয়েকটি মামলার আসামি হয়েও নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করছেন। তিনি ও তার স্ত্রী ফারহানা আহম্মেদ বৈশাখী প্রার্থী হয়েছেন। উভয়েই নির্বাচন কমিশনে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ছাড়পত্র পেয়েছেন।আওয়ামী লীগের সমর্থন না পেলে স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন বহিষ্কৃত এই সাবেক যুবলীগ নেতা।
মতিঝিল, আরামবাগ, দিলকুশা এলাকার এই ত্রাসের সম্রাট বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকও। এ ছাড়া ওয়ান্ডারার্স ক্লাব পরিচালিত হতো সাঈদের নেতৃত্বে। তার বেশভুষায় রয়েছে আধ্যাত্মিকতার ভাব। অবশ্য তার ভেতরের রূপ পুরোটাই উল্টো। স্বার্থের জন্য হয়ে যেতেন ভয়ঙ্কর।
তবে ক্যাসিনোর মূলহোতা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটের অন্যতম এই সহযোগীর দাবি, ‘তিনি নির্বিঘ্নে বিদেশ থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। দলের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে।
তিনি নিজের বা পরিবারের জন্য অর্থ-সম্পদ কিছু করেননি। যা কিছু করেছেন, সবই খেলাধুলা ও দলের জন্য। তার সঙ্গে যা হয়েছে, সেটা ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।