কাউন্সিল নিয়ে আপাতত ভাবনা নেই, টার্গেট ভাবনা ‘নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার’

0

বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল হয় ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ। সেটি ছিল দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল। সে অনুসারে প্রায় তিন বছর আগেই শেষ হয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মেয়াদ। এখন একটাই টার্গেট- ‘নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার’। সে দাবি আদায়ে চলছে বৃহৎ রাজনৈতিক জোট গঠনের মহাযজ্ঞ। এক্ষেত্রে প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কাউন্সিল নিয়ে আপাতত কোনো চিন্তাভাবনা নেই। কারণ এ মুহূর্তে আমাদের একমাত্র দাবি- নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার। যে সরকারের মাধ্যমে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন সম্ভব হবে। দেশ ফিরে পাবে গণতন্ত্র। দেশবাসী ফিরে পাবেন তাদের অধিকার।’

এ প্রসঙ্গে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে চলা এবং নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের জন্য কাউন্সিল অবশ্যই একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সেদিক বিবেচনায় দুই বছর আগেই আমাদের জাতীয় কাউন্সিল করা দরকার ছিল। কিন্তু কী কারণে করতে পারিনি, সেটা সবাই জানে। আর এখন তো কভিড-১৯ এর কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রমই চলছে সীমিত পরিসরে। সুতরাং জাতীয় কাউন্সিল নিয়ে এখন আর ভেবে লাভ নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাউন্সিলের আয়োজন করা হবে।

করোনা সংক্রমণসহ নানা কারণে দলের জাতীয় কাউন্সিলের আয়োজন করতে না পারলেও একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি এখন মুখ্য হয়ে উঠেছে বিএনপির কাছে। চলমান নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ার চেয়ে নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ে অনড় অবস্থানে থেকে মাঠে নামার পরিকল্পনা নিচ্ছে দলটি। রাজপথের আন্দোলন জোরদার করতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৃহৎ ঐক্য গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন দায়িত্বশীল নেতারা। অল্প সময়ের মধ্যেই বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ হয়েছে বিএনপির। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসার অপেক্ষা।

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও প্রস্তুত। বিএনপি স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ বিষয়ে বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় হলে জনগণের অধিকার আদায় হবে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব। সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি অব্যাহত আছে। ফলে নতুন ইসি গঠন নিয়ে এ মুহূর্তে বিএনপির কোনো মাথাব্যথা নেই। করোনার বিধিনিষেধ উঠে গেলে বিএনপির চলমান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। পাশাপাশি বৃহৎ রাজনৈতিক ঐক্যের ঘোষণা দেওয়া হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com