‘গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য আ.লীগের যত পরিকল্পনা আছে সব জনগণ ধ্বংস করে দেবে’

0

আওয়ামী লীগের ফাঁদে জনগণ আর পা দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য আওয়ামী লীগের যত পরিকল্পনা আছে সব জনগণ ধ্বংস করে দেবে, নষ্ট করে দেবে। অতীতের ঐতিহ্য নিয়েই দেশের মানুষ রুখে দাঁড়াবে, অবশ্যই উঠে দাঁড়াবে।’

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘জাতীয় রচনা প্রতিযোগিতার’ ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে এই রচনা প্রতিযোগিতা ১২ স্তরে ১২টি বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এই প্রতিযোগিতায় ৪১৯ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। তাদের মধ্য থেকে জাতীয় পর্যায়ে ১৭জন এবং বিভাগীয় পর্য়ায়ে ৭৯জন বিজয়ী হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরা (সরকার) গণতন্ত্রকে ধবংস করেছে, নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধবংস করে দিয়েছে। খুব কথা বলতে শুরু করেছে কয়েকদিন আগে আমরা সার্চ কমিটিতে নাম দেইনি কেনো? এটা তো জনগণের সাথে চরম প্রতারণা। আমরা বিগত নির্বাচনগুলোতে দেখেছি তারা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য নিজেদের লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। তারা যেটা নির্বাচন করে ওইটাকে বলে আমরাই তো জিতে গেছি, আমরাই এসেছি এখানে গণতন্ত্র পার হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, এই ভয়াবহ গণতন্ত্র বিরোধী, বাংলাদেশের মানুষ বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে রুখে দেয়ার জন্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দরকার। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের  শাসন প্রতিষ্ঠা হবে ইনশাল্লাহ।

বিশ্ব সূচকে বাংলাদেশ অর্থনীতি সূচকে পিছিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকেই পত্রিকায় এসেছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সূচক কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এরা সারাক্ষণ চিৎকার করছে উন্নয়ন, উন্নয়ন আর উন্নয়ন। মনে হয় যে, গোটা বাংলাদেশকে তারা সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছে। হ্যারিটেজ ফাউন্ডেশন আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে তারা এই বিষয়ে যে জরিপ করেছে সেখানে তারা বলেছে যে, এখন ১৭৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থা হচ্ছে ১৩৭তম স্থানে। ২০২১ সালে ছিলো ১২০তম। অর্থাত ১৭ ধাপ নিচে নেমে গেছে।

তিনি বলেন, এই যে সূচক নিচে নামছে এটা ক্রমান্বয়ে নামছে। কারণ তারা (সরকার) অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে প্রথমে জনগণের রাজনৈতিক স্বাধীনতা হরণ করে মানুষের অর্থনৈতিক অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে। এখানে একটা দুর্নীতির অর্থনীতি বললে ছোট করা হয়, লুটপাটের অর্থনীতি চালু করেছে। একেবারে ডাকাতি, অর্থনীতি চালু করেছে। দুর্নীতি করাটা তাদের মজ্জাগত, এটাকে তারা অপরাধ মনে করেনা, এটাকে তারা রাইট মনে করে।

স্বাস্থ্যখাত, সড়ক-যোগাযোগ-সেতুসহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক দুর্নীতির চিত্রও তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন,  এসব লুটপাট হচ্ছে তাদের কাছে উন্নয়ন। তাদের (আওয়ামী সরকার) উন্নয়ন হয়েছে, তারা কোটিপতি হয়েছে। তারা বিদেশে বেগমপাড়া তৈরি করছে। এসব খবর উঠে আসছে।

তিনি বলেন, যাদের ব্যবহার করে তারা ক্ষমতাকে টিকিয়ে রেখেছে তাদের সঙ্গে শেয়ার করছে। সরকারি কর্মচারিদের বেতন বাড়ানোর দাবি-আমাদের কোনো আপত্তি নেই, আমরা খুশি হবো। কিন্তু সেই সরকারি কর্মচারিদের বেতন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের আয়ের তো বৃদ্ধি করতে হবে, সেই সুযোগ তো তৈরি করতে হবে। সেটা কিন্তু হচ্ছে না।”

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে ইনফ্লুয়েশন কোথায় কোথায় ২০০% পর্যন্ত বেড়েছে। আজকে চাল-ডাল-তেল-লবনের দাম যে হারে বেড়েছে এটা কোনো স্বাধীন দেশে এভাবে চলতে পারে না। এটা তো একটা পুরোপুরিভাবে ভেনেজুয়েলা বা নাইজেরিয়ার মতো অবস্থা হয়ে যাচ্ছে যেখানে আপনার এই অপচয়, অপব্যবহার, দুর্নীতির কারণে এদেশ একটা ফেইল্ড স্টেটে পরিণত হয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com