প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটিতে আসা ৩২২ জনের নামের তালিকায় রয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর নাম।
নির্বাচন কমিশন নিয়োগের সার্চ কমিটির তালিকায় নানান অনিয়ম ও দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর অন্তর্ভুক্ত করায় ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সংসদের এক সভায় এ নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটির তালিকায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুর্নীতিবাজ উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর নাম থাকার বিষয়টি আমাদের বিস্মিত করেছে। আমরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছি। এমন একজন দুর্নীতি পরায়ণ মানুষের নাম কীভাবে সার্চ কমিটির তালিকায় আসে।’
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম জানান, ‘বিগত চার বছরে ভিসি হিসেবে দায়িত্বে থেকে ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণাকে ধ্বংস করেছে। তার বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্ত করেও তার দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। এমন একজন দুর্নীতি পরায়ণ ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসলে রাষ্ট্র হুমকির মুখে পড়বে। তাই নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর নাম সার্চ কমিটির তালিকা থেকেও বাদ দেওয়ার দাবি জানাই।’
শিক্ষক সমিতির সদস্য ও নীল দলের সাধারণ সম্পাদক ম. আসাদুজ্জামান মণ্ডল বলেন, ‘ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, নৈতিকস্থলনসহ সবধরনের অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। তাই এমন দুর্নীতিবাজকে দিয়ে রাষ্ট্রের কল্যাণ হতে পারে না।’
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর উপাচার্য থাকাবস্থায় লাগাতার অনুপস্থিতিসহ একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন করেন। তার দুর্নীতির প্রামাণ্য দলিলসহ ৭৯০ পৃষ্ঠার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ।