‘খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ বন্ধ হলেও তিনি ঝুঁকিমুক্ত নন, প্রয়োজন বিদেশে উন্নত চিকিৎসা’

0

টানা ৮১ দিন রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেই থেকে বাসাতেই অবস্থান করছেন তিনি। ডাক্তারের রুটিন ফলোআপের মধ্যে দিয়ে কাটছে তার দিন।

বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডাম সুস্থ হননি। উনার যে রক্তক্ষরণ হতো, সেটা এখন আপাতত বন্ধ আছে। তবে চিকিৎসক বোর্ডের আশঙ্কা, যেকোনো সময়ে তার অবনতি হতে পারে। এরপরে আবারো যদি অবস্থার অবনতি হয়, তবে সেটি আরো খারাপ দিকে যেতে পারে। ম্যাডামের সর্বোত্তম চিকিৎসা এখানে দেয়া হলেও তার রোগের উন্নত চিকিৎসা এখানে নেই। এজন্য যুক্তরাজ্য অথবা যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার বিকল্প নেই।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। এরই ধরাবাহিকতায় সবশেষ গত বছরের ১৩ নভেম্বর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এরপরেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে দলের পক্ষ থেকে সারা দেশে কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই। তবে রহস্যজনকভাবে বারবার তা নাকচ করে দেয় সরকার।

বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইয়েংর সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যার অবদান, তাকে সুচিকিৎসার জন্য সরকার সুযোগ দিচ্ছে না। এখন তিনি বাসাতে আছেন সত্যি, তবে ঝুঁকিমুক্ত নন।’

খালেদা জিয়ার বড় বোন বেগম সেলিমা ইসলাম জানান, ‘ওর শরীর আগের মতোই। এখানকার ডাক্তাররা যতটুকু সম্ভব তা করেছেন। দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার জন্য বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। এখন বাসায় আছে। আবার যদি অসুস্থতা বেড়ে যায় এখন সেটাই আশঙ্কা।’

পরিবারের পক্ষ থেকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের সাথে কোনো আলোচনা নতুন করে শুরু হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নতুন করে কিছু বলা হয়নি। আগে তো চেষ্টা করা হয়েছিল। তখন অনুমতি পাওয়া যায়নি। তারা তো অনুমতি দিলো না।’

এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া ‘তার অবস্থা এখনো আগের মতোই আছে। হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে হঠাৎ করেই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন থেকে সাবধানতার জন্য। চিকিৎসকরা ইতিমধ্যে বলেছেন, দেশে তার উন্নত চিকিৎসা সম্ভব নয়। এখানে যেটা হয়েছে সেটি প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা। সুফল পেতে হলে যে ধরনের চিকিৎসা দেয়া দরকার তা এখানে নেই। তবুও সরকার অমানবিকভাবে তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিচ্ছে না।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com