সরকারের দুর্নীতি আর ভ্রান্ত নীতিতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: মির্জা ফখরুল
সরকারের দুর্নীতি আর ভ্রান্ত নীতির কারণে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার বিকেলে (১৬ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। গত ১৪ বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সভায় আলোচিত বিষয় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ক্রমবর্ধমান নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি চাল, ডাল, তেল এর মূল্য বৃদ্ধি এবং তেল, গ্যাস ও পানির মূল্য ধাপে ধাপে বৃদ্ধিতে স্বল্প বিত্ত, মধ্যবিত্ত, শ্রমজীবী মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
তিনি বলেন,সভা মনে করে, অনির্বাচিত সরকারের চরম দুর্নীতি, অপব্যয় এবং অপরিকল্পিত ভ্রান্ত নীতির কারণে অস্বাভাবিকহারে এই সব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে জ্বালানী খাতে কুইকরেন্টাল প্রজেক্টে জবাবদিহীনভাবে বিনিয়োগ, ঢাকা ওয়াসায় সীমাহীন দুর্নীতি, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিম এ খান ৩ বার চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রতিমাসে ৫ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা বেতন, অব্যাবস্থপনার কারণে মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। ৩৮.৮ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি করে প্রতি ইউনিটে (এক হাজার লিটার) ২১.০০ টাকা গৃহস্থালি এবং ৫৫.০০ টাকা ব্যণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য প্রস্তাব করা সাধারণ মানুষের ওপর মরার ওপর খাড়ার ঘা সমান, উপরন্ত পানির মান অত্যন্ত নিচু হওয়ায় তা পান যোগ্য নয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই প্রেক্ষিতে পানির মূল্য বৃদ্ধি কোন মতেই গ্রহণ যোগ্য নয়। দেশে গ্যাস উৎপাদনের প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিকে অনৈতিক মুনাফা পাইয়ে দেওয়ার জন্য এলপিজি গ্যাস আমদানি, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী তেলের মূল্য হ্রাস হলেও বাংলাদেশে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি জনজীবনকে ভয়াবহ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করছে। পণ্য পরিবহণ ব্যয় ও সাধারণ মানুষের যাতায়াত ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একদিকে করোনার কারণে কর্মচ্যুতি, ব্যবসার ক্ষতি অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও কর্মজীবী মানুষের জীবনকে দূর্বিসহ করে তুলেছে।
তিনি বলেন, সভায় অবিলম্বে পানি, গ্যাস, তেলের মূল্য বৃদ্ধি বন্ধ করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া এবং চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য হ্রাসের জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানায়।