দেশের যে কোনো আন্দোলনে তারুণ্যদীপ্ত সংগ্রামী ঐক্যই ছিল শক্তির আধার। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনও এর ব্যতিক্রম ছিল না। তরুণরাই রাজপথে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ঐক্য গড়ে তুলেছে। করেছে সংগ্রামী। তরুণরাই মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় রাস্তায় নেমেছে, মিছিল করেছে, প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। ১৯৫২ সালের একুশের কর্মসূচিকে সফল করতে তারা আরও জোরালো প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল।
পতাকা দিবস পালনের সফলতা শেষে একুশের উদ্দীপনা ধরে রাখতে বা বাড়িয়ে তুলতে এ কর্মসূচি সহায়ক ভূমিকা পালন করে। জনসংযোগের বিষয়টি বলাবাহুল্য ইতিবাচক এবং তা মূলত তারুণ্যের সঙ্গে বয়সি জনসাধারণের।
১৯৫২-এর পূর্ববঙ্গীয় তারুণ্য কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই মাতৃভাষার জয় ছিনিয়ে আনতে রাজপথে নামে। তাদের পূর্বসূরিদের লক্ষ্য ছিল সংকীর্ণতামুক্ত সামাজিক বিকাশ। আর বায়ান্নর তরুণদের স্বপ্ন ও চেষ্টা ছিল মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা আর সে উদ্দেশ্যে সংগ্রাম। তাদের উচ্চারিত স্লোগানগুলোয় যেমন ছিল মাতৃভাষা বাংলার রাষ্ট্রনৈতিক অধিকার অর্জনের, তেমনই তাতে ছিল বাঙালির স্বাধীন জাতিচেতনার প্রচ্ছন্ন উপস্থিতি।