শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কারাগারে বন্দি রেখে শাস্তি দিচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তাকে শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কারাগারে বন্দি রেখে শাস্তি দিচ্ছে।

এই মুহূর্তে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাডভান্সড সেন্টারে পাঠানো উচিত। বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি করছি। অন্যথায় কিছু হলে সবকিছুর জন্য দায়ী থাকবে সরকার।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী গুরুতর অসুস্থ। তিনি কিছু খেতে পারছেন না, যা খাচ্ছেন তা বেরিয়ে আসছে। বিছানা থেকে ১০ কদম দূরে বাথরুমে একা যেতে পারেন না, দু’জনের সাহায্য নিতে হয়।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একাধিকবার চিঠি দেয়া হলেও এখনও তারা জবাব পাননি উল্লেখ করে আবারও চিঠি দেবেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড্যাবের সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তিনি এখন ক্রিপল্ড অর্থাৎ পঙ্গু হয়ে গেছেন। তিনি শুধু বিএনপির চেয়ারপারসন নন, তিনি দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তার বয়স ৭৬। তার ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত। ফাস্টিংয়ে তারা ডায়াবেটিসের মিলিমোল ১৭-১৮ থাকে।

তিনি বলেন, বিএসএমএমইউর মেডিকেল বোর্ড বলছে- ওনার অ্যাডভান্স থেরাপি দরকার। অ্যাডভান্স থেরাপি দিতে হলে এই প্রতিষ্ঠানটি কি অ্যাডভান্সড প্রতিষ্ঠান? মানলাম ওনাদের (বিএসএমএমইউ) মধ্যে অনেক চিকিৎসক আছেন, যারা সত্যি সত্যি স্বনামধন্য ও আঞ্চলিকভাবে তারা অত্যন্ত স্বীকৃত।

আজ প্রশ্ন তুলতে হয়- বিএসএমএমইউতে যদি অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট দেয়ার সর্বাধুনিক সুযোগ থাকতই তাহলে কেন কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অসুস্থ হয়ে ভর্তি হওয়ার পরে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর ট্রান্সফার করতে হয়েছিল?

সিএমএইচ খুব ভালো, কয়েকদিন আগেও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব জয়নাল আবেদীনকে ট্রান্সফার করতে হয়েছিল সিঙ্গাপুরে। অর্থাৎ অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্টের দরকার অ্যাডভান্সড সেন্টারে। সেই সুযোগ বিএসএমএমইউতে কি আছে? সুচিকিৎসার জন্য ওনাকে অ্যাডভান্সড সেন্টারে নেয়া প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।