গণঅভ্যূত্থানের মূল লক্ষ্যই ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন: তারেক রহমান

0

গণঅভ্যূত্থানের মূল লক্ষ্যই ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ঐতিহাসিক গণঅভ্যূত্থান দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাণীতে তারেক রহমান বলেন, “ঐতিহাসিক গণঅভ্যূত্থান দিবস উপলক্ষে আমি ঊনসত্তরের গণআন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
২৪ জানুয়ারি আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে শিক্ষা ও স্বাধীকারের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৬৯ সালের এ দিনে তদানীন্তন পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। গণআন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে তা ব্যাপক গণঅভ্যূত্থানে পরিণত হয়েছিল। পতন নিশ্চিত হয়েছিলো সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের। আর এরই ধারাবাহিকতায় প্রশস্ত হয়েছিলো আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ।

 

তিনি বলেন, গণঅভ্যূত্থানের মূল লক্ষ্যই ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন, বহুদলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম, বহুমত এবং চিন্তার চর্চা ও মানুষের মৌলিক মানবাধিকারসহ নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
আমাদের জাতীয় জীবনে ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থানের তাৎপর্য অত্যন্ত ব্যাপক। দিবসটি আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধীকার অর্জনের চেতনাকে শাণিত করে এবং সকল অন্যায়-অবিচার ও নিপীড়ণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে আজও অনুপ্রাণিত করে।

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে আবারও একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসনের চরম বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাক, ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতা এখন নিরুদ্দেশ করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একতরফা মিডনাইট নির্বাচনের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কায়দায় এক অভিনব ভোট করে ভোটারদের ভোটাধিকার হরণ করে নেয়া হয়েছে।

 

সুতরাং আজকের এ মহান দিনে আমি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাই।
তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com