প্রার্থীদের হয়রানি না করার আহ্বান
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। সোমবার বিকাল চারটায় তারা কমিশনে যান। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দুই ঘণ্টা আলোচনা করেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। কমিশন থেকে বের হয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্বয়ংক্রিয়ভাবে নীরবে নিঃশব্দে ভোটচুরির প্রকল্প হল ইভিএম। পৃথিবীর দুই শত দেশের মধ্যে মাত্র চারটি দেশে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। এই চারটি দেশের সরকার এবং নির্বাচন কমিশন কোনটাই বিতর্কিত নয়।
বাংলাদেশের সরকার এবং নির্বাচন কমিশন দুটি বিতর্কিত। ফলে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ইভিএম অন্তরায়। ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন প্রার্থীবিহীন একটা নির্বাচন করে সরকার ক্ষমতা দখল করেছে। ২০১৮ সালে ২৯শে ডিসেম্বর মধ্যরাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এখন আবার এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে। এখন ক্ষমতা দখলের একটি নতুন প্রক্রিয়া দেখতে পাচ্ছি সেটি হলো ইভিএম। তিনি বলেন, ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটচুরির যে প্রক্রিয়া সেটা হলো একেবারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নীরবে নিঃশব্দে ভোটচুরির একটি প্রকল্প ছাড়া আর কিছুই না। নির্বাচনের ফলাফল কি হবে সেটা নির্ভর করবে ইভিএম এর প্রোগ্রাম এর উপর। জনগণ যে ভোট দেবে সে ভোটটা কাকে দিবে তার পেপার ট্রেইল নেই। এটা না থাকার কারণে ইভিএমের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য জামিলুর রেজা চৌধুরী এই প্রকল্পে সই করেননি। ফলে সেখানে ভেরিফাই বা পরীক্ষা করার কোন সুযোগ নেই। তারপরও নির্বাচন কমিশন রহস্যজনক কারণে ইভিএমে গেছে। জনগণ সারা দিন ভোট দেবে। কিন্তু তাতে কোন লাভ হবেনা। কারণ ইভিএম এর প্রোগ্রামে যেটা সেট করা থাকে সেভাবেই ফলাফল আসবে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের একজন প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরেকজনকে বাসা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ তাকে মুন্সিগঞ্জের আলু খেতে পাওয়া গেছে। সংরক্ষিত নারী আসনের এক প্রার্থীর বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। ভয়-ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরিয়ে ফেলার যে প্রক্রিয়া তা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। অভিযানের নামে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থক এজেন্টদের হয়রানি করা হয়। বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনে তুলে ধরেছি। তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন এই ধরনের অভিযান এবার হবে না। ৩০ তারিখ পর্যন্ত আর কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না যদি না দৃশ্যমান বড় ধরনের কোনো অঘটন না ঘটে।