জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আ.লীগকে প্রতিহত করে ‘গণতন্ত্র’ ফিরিয়ে আনতে হবে: মোশাররফ
দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব বিএনপিকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিবে না। দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারলে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারবো না।’
গতকাল শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল এখন পর্যন্ত সবচাইতে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। এটার প্রমাণ ২০১৮ সালে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আমরা নির্বাচন গিয়েছিলাম। কিন্তু যখন তারা দেখলো দিনে যদি জনগণ ভোট দিতে পারে তাহলে তাদের (আওয়ামী লীগ) কোন পাত্তা থাকবে না। তাই তারা প্রশাসন দিয়ে এই ভোট ডাকাতি করেছে। এইটা বাংলাদেশর সবাই জানে। এইভাবে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রশূন্য করে ফেলেছে। এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে আছে।
তিনি বলেন, এই সরকার নানা ভাবে আমাদের মিটিং মিছিল করতে দিচ্ছে না। তাই আমরা আজকে সীমিতভাবে এই মিটিং করতে বাধ্য হচ্ছি। যাতে এগুলো জনগণের কাছে প্রকাশিত না হয়। দেশে বিদেশে না জানে সেই সব ব্যবস্থা করে স্বৈরাচারী আচরণ করছে। কিন্তু এগুলো ধামাচাপা দেওয়া সম্ভব হয় নাই। আমেরিকার গণতান্ত্রিক সামিটে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নাই। অর্থাৎ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বাংলাদেশে গণতন্ত্র নাই।
তিনি আরও বলেন, যে দেশে গণতন্ত্র নাই সেই দেশে মানবাধিকার থাকতে পারে না। আজকে মানবাধিকার লঙ্ঘিত। আমরা গুমের হিসাব দিয়েছি, বিচারবহির্ভুত হত্যার হিসাব দিয়েছি। বিএনপির বিরুদ্ধে এক লাখের বেশি মামলা ৩৬ লাখ আসামি। আওয়ামী লীগ মনে করেছে আমরা নির্যাতন করে মুখ বন্ধ রেখে পার পেয়ে যাচ্ছি। কিন্তু পার কি পেয়েছে? আর বিশ্ব জেনে গেছে এদেশে মানবাধিকার নেই। এইটা কোন ভাবে গৌরবের বিষয় নয়, জাতিগতভাবে এইটা আমাদের লজ্জার বিষয়।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধীতা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সরকার যে অর্থনীতিকভাবে রাজনৈতিক ভাবে আমাদের যে শোষণ করছে। আরেকটা শোষণের অস্ত্র আমরা পত্রিকায় দেখলাম। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা আমরা এই সভা থেকে তীব্র বিরোধীতা করি। তারা জনগণের সরকার নয়। তারা তেলের দাম বৃদ্ধি করছে বিদুৎ এর দাম বৃদ্ধি করছে। জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে বড় বড় প্রোজেক্ট করে বিদেশে টাকা পাচার করছে। আর নয় এই গ্যাসের দাম আর বৃদ্ধি করা যাবে না। এই অনাচার থেকে রক্ষা পেতে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করি।