‘পুলিশি তদন্তের নামে গুম হওয়া ব্যক্তির স্বজনদের হয়রানি বন্ধ করা হোক’

0

রাজধানীতে গুম হওয়া ব্যক্তির স্বজনদের ওপর পুলিশ তদন্তের নামে চাপ প্রয়োগ এবং হয়রানির অভিযোগ করেছে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনরা। এদিকে পুলিশ বলছে, এটা নিছক তদন্ত। এর বেশি কিছু নয়। তদন্তের নামে পুলিশি হয়রানির অভিযোগ এনে গুম হওয়া পরিবারের স্বজনরা আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মায়ের ডাক’-এর ব্যানারে গুমের শিকার ভিকটিম পরিবারগুলোর প্রতি শুরু হওয়া পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদ শিরোনামে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, তদন্তের নামে গুম হওয়া ব্যক্তির স্বজনের বাসায় বাসায় গিয়ে পুলিশ প্রশাসন তাদেরকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। বাসায় বাসায় গিয়ে তাদেরকে জেরা করা, থানায় ডেকে পাঠানো এবং অনেক পরিবারকে সাদা কাগজে সই নেয়ার কথা ইতোমধ্যে তারা জানিয়েছেন। বর্তমানে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, পুলিশ কাগজে লিখিয়ে নিতে চান, উনি হারিয়ে গেছেন। পুলিশ কাগজে সই নিয়ে করবে কি? তারমানে কাগজ তার (পুলিশ) কোথাও দেখাতে হবে, ‘আমরা কিন্তু গুম করিনি, এটা ওনারই দোষ’।

কোনো মামলা হয়েছে পুলিশের নামে? কোনো কোর্টে হয়েছে কি না জানি না। কিন্তু সাধারণত এই রকম ডকুমেন্টস আসামিরা বানাবার চেষ্টা করেন। পুলিশকে এই সরকার আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। গুম হওয়া ৬-৭শ মানুষের পরিবার থানায় ফরিয়াদ করতে গেলে তা পুলিশ নেয়নি। শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে এটা নিয়ে কথা বলা হয়েছে। গুম হওয়া মানুষগুলোর আমরা খবর চাই।

গুম হওয়া বিএনপি নেতা সুমনের বোন বলেন, তদন্তের নামে গুম হওয়া ব্যক্তিদের বাসায় বাসায় গিয়ে পুলিশের হয়রানিটা অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। পাশাপাশি তারা সুষ্ঠু তদন্ত করুক। এবং নিখোঁজদের ফিরে পেতে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান করুক তারা। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া প্রত্যেকের হাতে নিখোঁজ স্বজনের ছবি। কারও কাছে সন্তানের ছবি, কারও বুকে বাবার এবং আবার কারও বুকে ভাইয়ের ছবি ছিল। অনুষ্ঠানে নিজেদের দুঃসহ কষ্টের কথা তুলে ধরেন স্বজনরা। নিখোঁজদের কারও সন্তান, মা, কারও বোন ঘটনার বর্ণনা দেন।

অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, গুম হওয়াদের খুঁজে না বের করে বরং তাদেরকে নানাভাবে পুলিশি হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এবং অবিলম্বে তদন্তের নামে পুলিশি এ হয়রানি বন্ধের আহবান জানান তিনি। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটি চলে প্রায় দুই ঘণ্টা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com