মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন গংয়ের তথাকথিত অবৈধ সরকার ধারাবাহিকতায় চলছে দেশ: বিএনপি

0

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ওয়ান ইলেভেন’ ষড়যন্ত্রের সরাসরি বেনিফিশিয়ারি বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

(১৩ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

লিখিত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি অসাংবিধানিক তথাকথিত এক সরকার ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশের সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল। গণতন্ত্র হত্যা, মানুষের অধিকার হরণ করে দেশকে নিক্ষেপ করেছিল একটা অন্ধকার গহ্বরে। দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক শক্তিকে নির্মূল করার জন্য দীর্ঘদিনের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছে মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন গংয়ের তথাকথিত অবৈধ সরকার’।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে বিরাজনীতিকরণের লক্ষ্যে সংবিধানসম্মত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে উৎখাত করে বেআইনি সেনা সমর্থিত সরকার গঠন করা হয়। গণতন্ত্রের চিরকালীন পথরেখায় চলমান নন্দিত একজন নেত্রী ও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমানসহ বহুসংখ্যক রাজনৈতিক নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করা হয়।

রিজভী বলেন, এক/এগারোর ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে সম্পূর্ণভাবে দলবিহীন, ভোটারবিহীন বিনা ভোটের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখলে রাখে। এরপর ২০১৮ সালে বিশ্বে ভোট ডাকাতির অভিনব ইতিহাস রচনা করে এই অপশক্তিটি। রাতের অন্ধকারে ভোটের বাক্স ভরে ‘নিশিরাতের ভোট ডাকাত’ হিসেবে সারা পৃথিবীতে নিজেদের কলঙ্কিত পরিচিতি তৈরি করেছে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আজকে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ এই অনির্বাচিত স্বৈরাচার সরকারের প্রতি অতিষ্ঠ ও বিক্ষুব্ধ। এই সরকারের হাত থেকে জনগণ মুক্তি চায়। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। একাত্তরের মতো বর্তমানে আওয়ামী হানাদারদের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে সারা দেশের মানুষ আজ মুক্তি পাগল হয়ে উঠেছে। আমাদের সভা-সমাবেশগুলোকে মানুষের ‘ঊর্মিমুখর’ ঢল নামছে। ১৪৪ ধারা ভেঙে জনস্রোত নেমে আসছে রাজপথে। জনগণের এখন সংশপ্তক অঙ্গীকার-জীবন দিয়ে হলেও এ মাফিয়াদের হটিয়ে দেশের মানুষকে মুক্ত করতে হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com