তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা ও মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন
রংপুরের পীরগাছায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা ও মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে এ নির্যাতনের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনায় ১৭ জনকে আসামি করে পীরগাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার (১২ জানুয়ারি) উপজেলার পারুল ইউনিয়নের অনন্দি ধনিরাম গ্রামে মা-মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার গোলাপী বেগম ও মেয়ে রাবেয়া বেগম ওই গ্রামের শাজাহান মিয়ার স্ত্রী-কন্যা।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, অনন্দি ধনিরাম গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে শাজাহান মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী গাফ্ফার মিয়ার ছেলে জিয়ারু মিয়ার জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো।
গত বুধবার সকালে জিয়ারু ও তার লোকজন শাজাহানের জমি দখল করে গাছ ও রাস্তা কাটতে শুরু করে তাতে বাধা দেন শাজাহান ও তার পরিবারের লোকেরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জিয়ারু ও তার সহযোগীরা গোলাপী বেগম ও রাবেয়া বেগমকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালায়। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পীরগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল এসে ভুক্তভোগী মা-মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। তারা এখনো সেখানে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার দুদিন পর শুক্রবার দুপুরে নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হলে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
এদিকে ভিডিও ফাঁসের আগের দিন বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) শাজাহান বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
তিনি জানান, প্রতিবেশী জিয়ারু ও তার লোকজন জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে তার স্ত্রী-সন্তানকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালায়। থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি এ নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মা-মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি আমি শুনেছি। ভুক্তভোগীদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) আব্দুস শুকুর মিয়া জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।