আ.লীগ সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিউত্তর জনগণই দেবে: মির্জা ফখরুল

0

ক্ষমতা ধরে রাখতে সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ফ্যাসিবাদী এক নায়কতন্ত্রের বিশ্বাসী। তারা কোনো ধরনের ভিন্নমত বা ভিন্ন চিন্তাভাবনা সহ্য করে না। তাই ক্ষমতা ধরে রাখতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীর ওপর পুলিশে লেলিয়ে দিয়েছে।’

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রদল নেতা শাহ রাজিব আহমেদ রিংগনকে দেখার পর বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, এই সরকার সম্পূর্ণভাবে ফ্যাসিবাদী এক নায়কতন্ত্রের বিশ্বাসী। তারা কোনো ধরনের ভিন্নমত বা ভিন্ন চিন্তাভাবনা সহ্য করে না। তারা গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে ধবংস করে দিয়েছে। এখন বেআইনিভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে ক্ষমতাকে ধরে রাখতে চায়। দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা তারা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেই লক্ষ্যেই তারা কাজ করে চলেছে।

তিনি আরও বলেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকার সরানো হবে। এই নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিউত্তর জনগণই দেবে।

এদিন দুপুরে রাজধানীর সবুজবাগে ‘হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতালে’ গত ২২ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের সমাবেশে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিকি সম্পাদক শাহ রাজিব আহমেদ রিংগনকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব। হবিগঞ্জে গুরুতর আহত হওয়ার পর প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পরে ঢাকায় তাকে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকদের কাছ থেকে তার শারীরিক অবস্থার সম্পর্কে জানেন তিনি। রাজিবের সারা শরীরের পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা নিজেরা দেখেছেন, তার (রাজিব) সমস্ত শরীর গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ভাগ্যক্রমে তার চোখটা বেঁচে গেছে। তবে মুখে পিঠে, বুকে সমস্ত জায়গায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এটা আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে, এটা হত্যার উদ্দেশ্যে এই ধরনের গুলিবর্ষণ করা হয়েছে।

এ সময়ে মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সাবেক সাংসদ শাম্মী আখতার, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতা হাবিবুর রশীদ হাবিব উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ প্রদানের দাবিতে গত ২২ ডিসেম্বর বিএনপি হবিগঞ্জে সমাবেশ আহবান করে। ওই সমাবেশে পুলিশ অতর্কিতে হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। এতে ছাত্রদলের শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, আবদুল আহাদ তুষার, সাইদুর রহমানসহ অন্তত শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com