রাষ্ট্রপতির সংলাপ ‘ভোট চুরির আলোচনা’: আমীর খসরু
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চলমান সংলাপকে ‘ভোট চুরির আলোচনা’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, তিনটি নির্বাচনে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়ার পর এখন আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট চুরির আলোচনা শুরু করেছে। সেই ভোট চুরির উচ্ছ্বিস্ট ভোগকারী কিছু দল আলোচনায় অংশ নিচ্ছে।
গতকাল বুধবার, (৫ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে নগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অষ্টম বার্ষিকীতে কেন্দ্রঘোষিত ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আজকের যে মানববন্ধন, এটি ভোট চোরদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন। এরা ২০০৮ সালে ভোট চুরি করেছে, ২০১৪ সালে ভোট চুরি করেছে, ২০১৮ সালেও ভোট চুরি করেছে। এখন আগামী নির্বাচনে ভোট চুরির আলোচনা শুরু হয়েছে। এই আলোচনা ভোট চোরদের আলোচনা। ভোট চুরির উচ্ছ্বিস্ট ভোগকারী কিছু দল আবার চুরির উচ্ছ্বিষ্ট খাবার জন্য ভোট চোরদের পেছনে ঘুরঘুর করছে। চুরির উচ্ছ্বিস্টভোগী কিছু লোক তথাকথিত অগণতান্ত্রিক, দেশবিরোধী ভোট চোরদের সঙ্গে আলোচনা করছে।’
‘এই ভোট চোরদের এবার রুখতে হবে। এই ভোট চোরদের এবার দাবিয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশকে উদ্ধার করতে হবে। বাংলাদেশকে ফেরত নিতে হবে। এই চোরদের হাত থেকে, ভোট চোরদের হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে,’ বলেন আমীর খসরু।
ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের তাগিদ দিয়ে বিএনপি সরকারের সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘এই যে আন্দোলনের জোয়ার শুরু হয়েছে, এই জোয়ারে ভোট চোররা ভেসে যাবে। এদের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ভোট চোরদের পরাজিত করতে হবে। আজ শুধু দেশে নয়, বিদেশিদের কাছেও ভোট চোররা ধরা পড়েছে। এদের পালাবার জায়গা নেই। যারা ভোট চোরদের সহায়তা করছেন তাদের বলছি দেশে-বিদেশে কী হচ্ছে, সবাই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এই ভোট চুরির সঙ্গে যারা যারা জড়িত, কেউ রেহাই পাবে না। আজ যে আন্দোলন শুরু হয়েছে দেশে-বিদেশে, একে সফল করে দেশকে মুক্ত করতে হবে।’
অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন। সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলার সাবেক সভাপতি জাফরুল্ ইসলাম চৌধুরী, আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নগর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম, ইস্কান্দার মির্জা, আব্দুল মান্নান, সদস্য এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান, মাহবুবুল আলম, ইকবাল চৌধুরী, নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম।
এছাড়া নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃশহীদুল আলম শহীদ,ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম ও সদস্য সচিব শরীফুল ইসলাম তুহীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।