মানুষের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ বিএনপি’র

0

 বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ প্রেরণের দাবিতে গত ২০ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩২টি জেলায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তবে পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় কয়েকটি জেলায় নির্বারিত সমাবেশ করতে পারেনি দলটি।

তাই চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে অবশিষ্ট জেলাগুলোতে আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে সমাবেশ শুরু করবে বিএনপি।

এ বিষয়ে বিস্তারিত কর্মসূচি প্রণয়নের জন্য দলীয় মহাসচিবকে দায়িত্ব দিয়েছে দলের স্থায়ী কমিটি। মঙ্গলবার (০৪ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে সোমবার (০৩ জানুয়ারি) রাতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মির্জা ফখরুল জানান, সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সদস্যদের অবহিত করেন। দেশনেত্রীর রোগ মুক্তির জন্য পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে দোয়া চাওয়া হয়। এছাড়া গত ২৯ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচালের উদ্দেশ্যে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দফায় দফায় আক্রমণ, নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ওপর অবৈধ অস্ত্র নিয়ে গুলিবর্ষণ এবং নেতাকর্মীদের মারাত্মকভাবে আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

একইসঙ্গে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার ছবি জাতীয় দৈনিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, গ্রেফতার এবং বাড়ি বাড়ি তল্লালি চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করায় তীব্র নিন্দা জানানো হয় সভায়। অবিলম্বে চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারদের মুক্তি দাবি করা হয়।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, স্থায়ী কমিটির সভায় সম্প্রতি টঙ্গী ও চট্টগ্রামে র‌্যাবের নির্যাতনে দুইজনের মৃত্যুর যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামানকে অনুরোধ করা হয়।

এছাড়া সভায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন বিষয়ে রাষ্ট্রপতির রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ সম্পর্কে আলোচনা হয়। সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় উপস্থিত ছিলেন- ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। এ সময় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্থায়ী কমিটির সদস্যদের ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com