খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে বাকি ৩২ জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতির দাবিতে নতুন কর্মসূচি চূড়ান্ত করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাকি ৩২ জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি।
সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটি এক ভার্চুয়াল সভায় এ কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে
তিনি বলেন, ইতিপূর্বে আমরা ৩২ জেলায় সমাবেশ করেছি। এবার বাকি ৩২ জেলায় সমাবেশ করব। এরপর আবার আলোচনা করে অন্য কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অংশ নেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস. বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ৯.ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
গত বছরের ২০ ডিসেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতির দাবিতে সমাবেশের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। সোমবার কক্সবাজারে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা ১৪৪ ধারা ভেঙে সমাবেশ করেন। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
এর আগে গত বছরের ২০ নভেম্বর ঢাকাসহ সারা দেশের জেলা ও মহানগরে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করে দলটি। ওই বছরের ২২ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে বিএনপি। এরপর ২৪ নভেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করে দলটি।
উল্লেখ্য বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রথমে হবিগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর পটুয়াখালী ও সিরাজগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নওগাঁ এবং ফেনীসহ কয়েকটি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করায় সমাবেশ হয়নি।
গত রবিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, জেলা সমাবেশগুলোতে জনগণের অংশগ্রহণ দেখে ভয় পেয়ে আওয়ামী লীগ তাণ্ডব চালিয়েছে। ভবিষ্যতে বাকি জেলাগুলোতে বড় পরিসরে সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।