ইসি নয়, প্রধান সংকট নির্বাচনকালীন সরকার: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে বর্তমান যে সংকট চলছে তা নির্বাচন কমিশন গঠন বা আইন তৈরি করার সংকট নয়। প্রধান সংকট হচ্ছে নির্বাচনকালীন সময়ে কেমন সরকার থাকবে, সেটি হচ্ছে প্রধান সংকট।
গতকাল শনিবার (১ জানুয়ারি) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা ও পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সকাল সোয়া ১০টার দিকে ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন নেতাকর্মী রাজধানীর চনাদ্রীমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের মাজারে আসেন।
এ সময় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নানা স্লোগান দেন সংগঠনটির নেতাকর্মী। এর কিছুক্ষণ পর আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং মোনাজাত করেন।
রাষ্ট্রপতির সংলাপের প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, আমরা এই সংলাপকে অর্থহীন মনে করছি। বর্তমান যে রাজনৈতিক সংকট সেটি নির্বাচন কমিশন গঠন বা আইন তৈরি করার সংকট নয়। প্রধান যে সংকট সেটি হচ্ছে নির্বাচনকালীন সময়ে কোন রকম সরকার থাকবে? সেটি হচ্ছে প্রধান সংকট। যদি আওয়ামী লীগ সরকার থাকে তাহলে সে নির্বাচনের কোনো মূল্যই হতে পারে না। অর্থই হতে পারে না। অবশ্যই আমরা যেটা বলেছি নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ, নির্দলীয় সরকারে থাকতে হবে। যারা নিরপেক্ষভাবে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে এবং তাদের পরিচালনায় একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নববর্ষে জাতীয়তাবাদী দল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা প্রত্যাশা করি এই নববর্ষে জনগণ মুক্ত হবে, গণতন্ত্র মুক্ত হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন এবং দেশে অবশ্যই আমরা একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।
ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মির্জা ফখরুল এই অঙ্গসংগঠনের প্রতি প্রত্যাশা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অতন্দ্র ও আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বন্দি অবস্থায় অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। সেই সময় ছাত্রদলের নেতারা আজকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে এসেছেন। পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও মোনাজাত শেষে নেতাকর্মীরা শপথ নিয়েছেন। দেশনেত্রী মুক্তি এবং বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসার আন্দোলন সেটি কি আরও বেগবান করবে এবং ২০২২ সালে তারা সফল হবে।