দেশে যদি থাকতে চান খালেদা জিয়ার কাছে ক্ষমা চান, সরকারের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপি কখনো পরাজিত হয়নি, হবেও না। হাসিনার পতন অবধারিত। শুধু সময়ের ব্যাপার।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগের দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা জেলা বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ হাসিনা কখনো খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিবেন না। চিকিৎসাও করাতে দিবেন না। বিনা চিকিৎসায় বেগম জিয়ার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার আগ পর্যন্ত অস্থিরভাবে আগ্রহ করছেন তিনি। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার পথে বাধা শেখ হাসিনা। যদি বাধা হয়ে থাকে তাহলে শেখ হাসিনাকে আগে সরাতে হবে। তাহলে খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন। খালেদা জিয়া পছন্দমত চিকিৎসা নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমস্ত মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। এমনকি আওয়ামী লীগের শতকরা ৯০ জন লোক শেখ হাসিনার এই বাড়াবাড়িকে পছন্দ করছে না।
কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যখন কারাগারে যাই তখন কারাগার কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে কানে কানে বলে, ‘আমরা যত ভাল খাবারই দেই সেটা খাবেন না।’ জেলখানায় স্লো পয়জনিংয়ের বিষয়টা ব্রিটিশ আমল থেকেই আছে।’
আওয়ামী লীগের পালানোর জায়গা নেই জানিয়ে তিনি আরো বলেন, কয়েকদিন আগে মুরাদ নামের একজন কানাডায় গিয়েছিলেন। বিভিন্ন এয়ারপোর্ট ঘুরে ফেরত আসছে। কেউ জায়গা দেয়নি। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সমস্ত নেতার এই অবস্থা হবে। কোথাও জায়গা হবে না। কোন জায়গায় ঠাই পাবে না। সেই কারণে শেখ হাসিনাকে বলবো জায়গা যখন বিদেশে পাবেন না, পালানোর চেষ্টা করা তো দরকার নাই। দেশেই যদি থাকতে চান তাহলে খালেদা জিয়ার কাছে ক্ষমা চান। দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান। দেশের মানুষের অধিকার ফেরত দেন। জনগণের সাথে একটু সমঝোতা করেন।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়া সালাউদ্দিন বাবুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন─ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর হক মিলন, নির্বাহি কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আশফাক হোসেন, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলন নিবর, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, বিএনপির যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াসউদ্দিন মামুন।