খালেদা জিয়া নির্যাতন সহ্য করেছে, তবুও কোনদিন জনগণের কাছ থেকে সরে যাননি: রিজভী
সংগ্রাম ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর টেবিলে টেবিলে ঘুরিয়ে দেশনেত্রীর জীবন নিয়ে আপনারা ছিনিমিনি খেলছেন। এই ছিনিমিনি আর বেশিদিন খেলতে দেওয়া হবে না। বেগম খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে আপনারা যা শুরু করছেন এমন নির্মমতা ও নির্দয়তা আর হয় না। এমন পরিস্থিতিতে সংগ্রাম ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে না পারলে বাঁচার কোন উপায় নেই।’
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দলেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগের দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা জেলা বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জীবনে অনেক নির্যাতন সহ্য করেছেন। তবুও কোনদিন জনগণের কাছ থেকে সরে যাননি। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই নয় বছর আপসহীন থেকেছেন, আত্মসমর্পণ করেননি। নিজের বিবেক বিক্রি করেননি। এই জন্যই তার উপর আপনার (শেখ হাসিনা) যত রাগ।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে সরকার এবং প্রশাসন নানা ধরনের খেলা খেলছে। তার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবির জন্য আমরা ঢাকা জেলা বিএনপি সমাবেশ করব। কিন্তু পুলিশ ঢাকার কোথাও আমাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি। সভা-সমাবেশ গণতন্ত্রের অংশ অথচ আমরা সমাবেশ করতে পারি না। ঢাকার সব মাঠ-ঘাট যেন শেখ পরিবারের দখলে। আর আমরা এ শহরের ভাড়াটিয়া। আমাদের কোনো অধিকার নেই।
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পুলিশ বাহিনী শেখ হাসিনার লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং চিকিৎসার জন্য সংগ্রামের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে রাস্তায় থাকা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। জেলায় জেলায় সমাবেশ কিংবা ঢাকা জেলা সমাবেশেই শেষ নয় আরও বড় কর্মসূচি থাকবে সামনে। সেখানে তপ্ত বুলেট বুকে ধারণ করতে হতে পারে।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়া সালাউদ্দিন বাবুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর হক মিলন, নির্বাহি কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আশফাক হোসেন, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলন নিবর, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, বিএনপির যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াসউদ্দিন মামুন।