৭ই মার্চে শেখ মুজিবের ভাষণ স্বাধীনতার ছিলো না, ছিলো পাকিস্তানের সাথে সমঝোতার: টুকু
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটি’র সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ৭ মার্চে শেখ মুজিবর রহমানের ভাষণ স্বাধীনতার ভাষণ ছিলো না। এটি ছিলো পাকিস্তানের সাথে সমঝোতার ভাষণ। ২৭ মার্চ শহীদ জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে এ দেশে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এটা আওয়ামী লীগ স্বীকার করে না। কারণ এটা স্বীকার করলে শেখ মুজিবর রহমানের গ্রহণযোগ্যতা কমে যায়।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যখন যুদ্ধের মাঠে তখন বেগম খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানীরা গ্রেফতার করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়ারও ভূমিকা রয়েছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সুসংগঠিত করেছেন। বেগম জিয়া একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এটা বলতে আওয়ামী লীগের লজ্জ্বা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সু-চিকিৎসার দাবী জেলা বিএনপি’র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিএনপি’র রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে এ সমাবেশ শুরু হয়।
এর আগে সমাবেশ শুরু আগে জেলা শহরের বিভিন্ন পথে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেন। বিএনপির নেতা কর্মীরা সমাবেশ যোগ দিতে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে পথে পথে নানা ভাবে হয়রানী করা হয়। পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা বিএনপি র নেতা কর্মী পায়ে হেটে সমাবেশে যোগদান করেন। এ সময় শহরের মিশন মোড় এলাকায় ছাত্রদলের মিছিলে লাঠিচার্জ করেন পুলিশ সমাবেশে এমন অভিযোগ করেন বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন আওমী লীগের এমপি -মন্ত্রীরা ভারত পালিয়ে গিয়ে ছিলো। দেশ স্বাধীন হয়েছে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। সেই দিন বেশি দুরে নয় আমরা তারেক রহমানের হাত ধরে বেগম জিয়াকে মুক্তি করে নতুন বাংলাদেশ তৈরী করবো। শুধু মুরাদ হাসান নয়। মুরাদ হাসানের মত আ’লীগের প্রতিটি নেতার বিদায় হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, যুবদলের সহ সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার হাসান রাজীব প্রধান, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মমিনুল হক ও হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোশারফ হোসেন প্রমুখ।