লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩

0

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চ ট্রাজেডির ঘটনায় পঞ্চম দিনে অজ্ঞাত আরেক যুবকের (৩২) লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ঝালকাঠির লঞ্চঘাট সংলগ্ন মাঝনদী থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই যুবকের মুখমণ্ডল পোড়া ছিল এবং শরীরে অফ হোয়াইট শীতের পোশাক ও পরনে জিন্সের প্যান্ট ছিল বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার ডি এ ডি শফিক।

লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

টানা পঞ্চম দিনের মতো সুগন্ধা নদীতে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

সোমবার লঞ্চ টার্মিনালে স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুম ৪৭ জন নিখোঁজ যাত্রীর তথ্য দিয়েছে বলে জানান ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক মো: সালাউদ্দিন।

এদিকে, লঞ্চ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করে লঞ্চ মালিকদের একজন হামজালাল শাহ ও লঞ্চ স্টাফসহ আটজনকে আসামি করে ঝালকাঠির থানায় সোমবার মধ্য রাতে একটি মামলা হয়েছে।

ঢাকার বকসনানগর এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে মনির হোসেন এই মামলা করেন।

লঞ্চ ট্রাজেডির ঘটনায় তার বোন তাসলিমা আক্তার (৩০), তাসলিমার বড় মেয়ে সুমাইয়া আক্তার মিম (১২) ও সুবর্না আক্তার তানিয়া ( ৮) ও তাসলিমার ভাতিজা জুনায়েদ ইসলাম বায়েজিদ (২০) নিখোঁজ রয়েছেন। তারা এই লঞ্চযোগে একসাথে বরগুনায় তাসলিমা আক্তারের শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন।

এর আগে সোমবার ভোরে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মো: হামজালাল শেখ নামে লঞ্চটির এক মালিককে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক (এএসপি) এ এন এম ইমরান খান জানান, কেরানীগঞ্জ থেকে হামজালালকে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টায় ঢাকা থেকে প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে আসা বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে আগুন লাগে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com