গণতন্ত্র হত্যাকারী মাফিয়া সরকারের দালালদের দেশে-বিদেশে কোথাও ঠাঁই মিলবেনা: তারেক রহমান
আমার অধিকার, আমার দেশ, তাবেদারের দিন শেষ, টেইক ব্যাক বাংলাদেশ উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, মানুষ গুম খুন অপহরণ করে র্যাব পুলিশ যেভাবে মাফিয়া সরকারের অপকর্মের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়েছে একইভাবে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারের নাম অবিচার চালিয়ে আদালতও মাফিয়া সরকারের অপকর্মের সঙ্গে নিজেদেরকে জড়িয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
মাফিয়া সরকারের দালালদের হুশিয়ার করে দিয়ে তারেক রহমান বলেন, যারা মনে করছেন মাফিয়াদের সকল অপকর্মের সঙ্গী হয়ে সময় বুঝে দেশে কিংবা বিদেশে পালিয়ে রক্ষা পাবেন, গণতন্ত্রকামী জনগণের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি সতর্কবার্তা হচ্ছে, ‘এখনো সময় আছে, খালেদা জিয়ার প্রতি অবিচার বন্ধ করুন। গুম খুন অপহরণ হয়রানি বন্ধ করুন। অন্যথায়, জনগণ ঘুরে দাঁড়ালে,র্যাব-পুলিশ কিংবা বিচারপতি যেইহোক, মাফিয়া সরকারের দালালদের দেশে-বিদেশে কোথাও ঠাঁই মিলবেনা’।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, দেশের জনগণ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে, র্যাব-পুলিশের একটি বিশেষ চক্র মাফিয়া সরকারের সকল অপকর্মের সঙ্গে যেভাবে নিজেদের সম্পৃক্ত করে ফেলেছে, একইভাবে বিচারের নামে অবিচার চালিয়ে, উন্নত চিকিৎসায় বাধা সৃষ্টি করে, মাদার অফ ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়ার প্রাণনাশের অপচেষ্টার সঙ্গে আদালত ও নিজেদেরকে মাফিয়া সরকারের অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেছে।
আদালত কিভাবে মাফিয়া সরকারের অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেছে এর উদাহরণ দিতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন, যেখানে হাইকোর্টে ১০ থেকে ১৫বছরের পুরনো মামলার আপিল নিষ্পত্তি দূরে থাক শুনানীই শুরু হয়না, সেখানে হাইকোর্টে ২০১৮ সালে বেগম খালেদা জিয়ার আপিল অবিশ্বাস্য দ্রুততায় ২০১৮সালেই নিষ্পন্ন করেছে। শুধু তাই নয়, নজীরবিহীনভাবে নিম্নআদালতে মাফিয়া সরকারের ফরমায়েশি রায়ের সাজার মেয়াদ হাইকোর্ট আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, হাইকোর্টে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ২০১৮সালের আপিল মাত্র কয়েকমাসের মধ্যেই ২০১৮সালে নজিরবিহীন তড়িঘড়ির মাধ্যমে নিস্পত্তির অন্যতম কারণ, যাতে খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন। বাস্তবতা হলো, খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ করতে পারলে মাফিয়াদের পক্ষে নিশিরাতের ভোট ডাকাতি সম্ভব হতোনা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিচারের নামে অবিচারের এখানেই শেষ নয়, গুরুতর অসুস্থ হয়ে বেগম খালেদা জিয়া যখন পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন তখন মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে হাইকোর্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। মানবিক কারণেও হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেনি।
তারেক রহমান বলেন, একদিকে সারাদেশে বিএনপি এবং ভিন্নদল ও মতের মানুষকে গুম খুন অপহরণ, নির্যাতন নিপীড়নে র্যাব-পুলিশকে দলীয় লাঠিয়ালবাহিনী হিসেবে ব্যবহার করছে মাফিয়া সরকার অপরদিকে আদালতকে ব্যবহার করা হচ্ছে বিনা চিকিৎসায় গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রাণনাশের অপচেষ্টায়। আদালত ও বিনা বাক্যব্যয়ে মাফিয়াদের ইচ্ছে পূরণে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিনাভোটে ক্ষমতা দখলে রাখতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, জনপ্রশাসন, আদালত, নির্বাচন কমিশন, সবমিলিয়ে গত একযুগে একটি মাফিয়া চক্র তৈরী হয়েছে। ক্ষমতালোভী এই আওয়ামী মাফিয়াচক্রের অত্যাচার নির্যাতনের হাত থেকে ভিন্নদল মতের মানুষ, সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু, মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কিংবা বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী, কেউ নিরাপদ নয়। এমন কি নিরাপদ নয় বাংলাদেশ।
তারেক রহমান বলেন, গত একযুগে, দেশের বিভিন্ন জেলায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর তাদের বাড়িঘর কিংবা উপাসনালয়ের উপর অনেকবার হামলা হয়েছে। হামলার পর কোনো একটি ঘটনারও সুষ্ঠ তদন্ত কিংবা বিচার না করে বরং দু’একটি ঘটনায় লোক দেখানো তদন্ত শুরু হলেও বেরিয়ে আসতে শুরু করে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নাম। ফলে, মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মাফিয়া সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্লেইম গেইমে লিপ্ত হয়।
তিনি আরো বলেন, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুতে, ২০১৬ সালের ৩০অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর রংপুরের গঙ্গাচড়া, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ কিংবা সুনামগঞ্জের শাল্লাসহ গত একযুগে দেশের বিভিন্নস্থানে, সংখ্যালঘু ধর্মীয় জনগোষ্ঠী, তাদের বাড়িঘর কিংবা উপাসনালয়ে যেসব হামলার ঘটনা ঘটেছে। জনগণ জানতে চায়, এখন পর্যন্ত কেন একটি ঘটনারও বিচার হয়নি? কে তাদের বাধা দিয়েছে, প্রশ্ন করেন তারেক রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী অপশক্তি ক্ষমতায় থাকলে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী কেন নিরাপত্তাহীনতায় থাকে, কেন,বারবার তাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে? কারা এসব হামলায় জড়িত? এসব রহস্য খুঁজে বের করতে তিনি ইতোমধ্যেই সর্বদলীয়, সর্বধর্মীয়, এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি ‘নাগরিক তদন্ত কমিশন’ গঠন করার আহবান জানিয়েছিলেন। কিন্তু ‘নাগরিক তদন্ত কমিশন’ গঠনের সৎ সাহস নিশিরাতের সরকারের নেই।
তিনি বলেন, দুঃখজনক বাস্তবতা হচ্ছে, বর্তমানে দেশে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। মানুষের অধিকার লুন্ঠিত। ভুলুন্ঠিত মানবাধিকার। প্রতিবাদী মানুষের পেছনে লেলিয়ে দেয়া হচ্ছে র্যাব-পুলিশ। একজন মাত্র ব্যক্তির ক্ষমতালিপ্সার পূরণ করার জন্য, ভিন্ন দল ও মতের শতশত মানুষকে গুম খুন অপহরণ করার দায়ে,এখন সারাবিশ্বের কাছে র্যাব-পুলিশকে মানবাধিকারলঙ্ঘনকারী বাহিনী হিসেবে পরিচিত হতে হচ্ছে।
বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, প্রতিটি ধর্মের, প্রতিটি কর্মের, মূলপ্রতিপাদ্যই হচ্ছে, পৃথিবীতে সত্য ও ন্যায়প্রতিষ্ঠা, মানবকল্যাণ, আর স্রষ্টার প্রতি সৃষ্টির নিঃশর্ত আত্মসমপর্ণ। সুতরাং, রাষ্ট্র ও সমাজে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য পূরণে প্রথম কাজটিই হচ্ছে, অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া।
তারেক রহমান বলেন, অবিচার অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্যই, সমাজ ও রাষ্ট্রে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারবে। প্রতিটি মানুষ স্বাধীনভাবে যার যার ধর্মীয় রীতিনীতি চর্চা করতে পারবে। সামাজিক, রাজনৈতিক অধিকারগুলো ভোগ করতে পারবে। ফলে, রাষ্ট্র ও সমাজে প্রতিটি মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা, ধর্মীয় কিংবা রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পূর্বশর্তই হচ্ছে গণতন্ত্র।
এমন একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষেই, লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল, সাম্য-মানবিকমর্যাদা-সামাজিক সুবিচার। তবে মাফিয়াদের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত হওয়ার পর, রাষ্ট্র ও সমাজে আজ আর মুক্তিযুদ্ধের একটি বৈশিষ্ট্য ও অবশিষ্ট নেই, বলেন তারেক রহমান।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও দলীয়করণের অভিযোগ করে তারেক রহমান বলেন, মুসলমান-হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান, বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী সবাই মিলে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো। অর্জন করেছিলো স্বাধীনতা। কে ‘সংখ্যাগুরু’ আর কে ‘সংখ্যালঘু’ মুক্তিযুদ্ধের সময় এটি কারো জিজ্ঞাসা ছিলোনা। বর্তমানে সেই গৌরবময় সেই স্বাধীনতা ও বিজয়ের ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ নিয়েও চলছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি আর নির্লজ্জ দলীয়করণ।
তারেক রহমান বলেন, জীবনবাজি রেখে যারা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন, অস্ত্র হাতে লড়াই করেছেন, সুবর্ণ জয়ন্তীর মঞ্চ, মুক্তিযুদ্ধের সেইসব বীরোত্তম-বীরপ্রতীক বীরবিক্রম আর রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের পদভারে মুখরিত হওয়ার কথা ছিল। অথচ, রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা খরচ করে, সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন মঞ্চে বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপেক্ষিত।
তারেক রহমান আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ, মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলাদেশ, জনগণের বাংলাদেশকে মাফিয়াদের কবল থেকে উদ্ধার করতে হলে রাজপথের আন্দোলনের বিকল্প নেই। ‘দেশ যাবে কোন পথে ফয়সালা রাজপথে’।
তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্র ও সমাজে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের আকাঙ্খা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। জালিমের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করে নির্যাতিত মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিতে, জনগণের বাংলাদেশ জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রতিজ্ঞা হোক, ‘আমার অধিকার আমারদেশ, তাঁবেদারের দিন শেষ দিতে টেইক ব্যাক বাংলাদেশ’।
একটি আধুনিক রাষ্ট্র ও সমাজে, দেশের জনগোষ্ঠীকে, সংখ্যাগুরু কিংবা সংখ্যালঘু হিসেবে বিবেচনা করে বৈষম্য সৃষ্টি অমার্জনীয় অপরাধ উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশে মুসলমান যেমন সংখ্যাগুরু, তেমনি ভারতে হিন্দুধর্মাবলম্বীরা সংখ্যাগুরু। ব্রিটেনে, খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা সংখ্যাগুরু আর মুসলমান এবং হিন্দু উভয় জনগোষ্ঠীই সংখ্যালঘু। অর্থাৎ, ভৌগোলিক কারণে রাষ্ট্রভেদে একই মানুষ একেক দেশে কখনো সংখ্যালঘু, কখনো সংখ্যাগুরু। সুতরাং, কে ‘সংখ্যালঘু’ কিংবা কে ‘সংখ্যাগুরু’ এটি রাষ্ট্রের মুখ্য বিবেচ্য হতে পারেনা।
তারেক রহমান বলেন, মানুষের ধর্মীয় স্বাতন্ত্রবোধ ছাড়াও বাংলাদেশে অনেকগুলো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের রয়েছে আলাদা ভাষা ও সংস্কৃতি। তাদেরকে জোর করে ‘বাঙালি’ বানাতে দিয়ে, আওয়ামী অপশক্তি স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে যে অবিশ্বাসের বীজ বপন করেছিল, আজও বাংলাদেশকে এর কুফল ভোগ করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি মানুষের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। মানুষের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্রবোধে বিশ্বাস করে। মুখরোচক কথা বলে বিএনপি একের ধর্মীয় কিংবা সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র, অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়না। এমন বাস্তবতায়, দেশের সকল নাগরিককে যুক্ত করে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতিতে পরিণত করতেই স্বাধীনতার ঘোষকের যুগান্তকারী রাজনৈতিক দর্শন ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশের সকল ধর্মবর্ণ কিংবা নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর গর্বিত পরিচয় নির্ধারণ করেছিলেন ‘বাংলাদেশী’। সুতরাং, একজন ‘বাংলাদেশী’ হিসেবে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি-অবাঙালি বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী কিংবা সংশয়বাদী, প্রত্যেকেই, রাষ্ট্র ও সমাজের সকল ক্ষেত্রে সমানাধিকার ভোগ করবে, এটাই বিএনপি’র নীতি, এটাই বিএনপির রাজনীতি।
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তারেক রহমান আরো বলেন, ‘কেউ নিজেদেরকে সংখ্যালঘু নয় ‘বাংলাদেশী’ ভাবুন। আপনার-আমার-আমাদের গর্বিত পরিচয় হোক ‘আমরা বাংলাদেশী’। বাংলাদেশ নামক এই ভূখণ্ডে আমার-আপনার-আমাদের সবার সমান অধিকার’।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি কখনোই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতে চায়না। ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়না। ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানাতে চায়না। বিএনপি বিশ্বাস করে, ‘দল-মত-ধর্ম যার যার নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার’।
দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রত্যেকের প্রতি আহবান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ যেন নাগরিকদের ধর্মীয় পরিচয়কে তাদের নিজেদের হীন দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।