সরকারি দলের দৌরাত্মের কারণেই মানুষের জীবনহানিসহ জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে: রিজভী
বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের হৃদয়স্পর্শী ঘটনা দুঃশাসনেরই প্রতিফলন বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সর্বত্র সরকারি দলের দৌরাত্মের কারণেই সাধারণ মানুষের জীবনহানিসহ জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা ও গুরুতর আহতদের সুস্থতা কামনা করে রিজভী বলেন, সারা জাতি এই বেদনার্ত ঘটনায় শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। বিনা ভোটে জবাবদিহিহীন সরকারের কারণেই সারাদেশে সর্বত্র অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা রাজত্ব করছে। জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না বলেই সড়ক ও নৌপথসহ সকল জনপথেই নৈরাজ্য বিরাজ করছে। চারশো যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করা লঞ্চটি অগ্নিকাণ্ডের সময় হাজার খানেক যাত্রী অবস্থান করছিল, এটি কীভাবে সম্ভব নৌ-পরিবহনে দুর্বৃত্তদের দাপট বলেই কোনো নিয়ম-শৃঙ্খলাকেই তোয়াক্কা করা হয় না। আর সে কারণেই জীবন দিতে হচ্ছে নিরীহ যাত্রীদের।
তিনি বলেন, জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির পর সরকার আবারো বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা শুরু করেছে। গত ১২ বছরে ১১৮ ভাগ বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের এই দাম বৃদ্ধির উদ্দেশ্য অশুভ। ক্ষমতাসীনদের আত্মীয়স্বজনদের গড়া কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জনগণের টাকা লোপাট করতে বারবার দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বৃদ্ধির প্রস্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
রিজভী বলেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নামে চট্টগ্রামে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। তিন বছর আগে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে উস্কানির মিথ্যা অভিযোগে এই চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এটি সম্পূর্ণভাবে চক্রান্তমূলক।
কক্সবাজারে স্বামী সন্তানকে জিম্মি করে বেড়াতে আসা গৃহবধূকে দলবেধে শ্লীলতাহানির ঘটনা শুধু মর্মান্তিকই নয়, দেশবাসীকে বেদনাহত ও আতঙ্কিত করে তুলেছে জানিয়ে রিজভী বলেন, এ নারকীয় ঘটনা বর্তমান দুঃশাসনেরই একটি চালচিত্র। দেশবাসী যেন অন্ধকার প্রতিক্রিয়া, দাসত্ব ও মৃত্যুপুরীর আবহের মধ্যে বসবাস করছে। কক্সবাজারে গৃহবধূর ওপর নির্মম পাশবিকতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে দুস্কৃতিকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।