যে সকল মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানো হয়েছে সে সকল মামলায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
‘নির্বাচনকে আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবির মুরাদের স্মরণে আয়োজিত নাগরিক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিগত নির্বাচনে এই অবস্থার পরেও আপনারা নির্বাচনে গেছেন কেন? অনেকে এমন প্রশ্ন করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা একটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি হিসেবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে যেতে চাই।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আমাদের নির্বাচনে যেতে হবে ও নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা জনগণের কাছে যাব এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়েই এই সরকারকে আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরাজিত করবো। এটাই আমাদের কাজ, এ কাজটি আমরা করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি আমরা সফল হব। কারণ জনগণের যে শক্তি সেই শক্তির কাছে সকল অপশক্তি পরাজিত হয়।
দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অর্থনীতি একটি এম্পটি ভেসেল এর মধ্যে পড়ে গেছে। বাইরে থেকে ঢোল বাজায় উন্নয়ন-উন্নয়ন কিন্তু ভেতর একদম ফাঁকা। এই রাষ্ট্রকে পরিপূর্ণভাবে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আওয়ামী লীগ চূড়ান্ত করে ফেলেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, নাইকো দুর্নীতি মামলার মূল মামলা যেটা আন্তর্জাতিক আদালত হয়েছে তা গোপন করে সরকার এ মামলা করেছে। এ মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে অলরেডি রায় হয়েছে। এই মামলায় বলা হয়েছে কোনো ধরনের কোনো রকম দুর্নীতি হয়নি এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যায়ভাবে যাদেরকে এ মামলার সাথে যুক্ত করা হয়েছিল তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এই মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে যারা বিচারক ছিলেন তারা সবাই বিদেশি। আমাদের সরকারও সেখানে ছিল, তারা অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিল। শুনানির শেষে তারা বলেছেন, নাইকো সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত এবং বেগম খালেদা জিয়ার এখানে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই এবং এখানে যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের দুর্নীতির কোনো প্রমাণ তারা করতে পারেনি। এই ধরনের যতগুলো মামলা দেওয়া হয়েছে এই সবগুলো মামলা মিথ্যা মামলা।
তারেক রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে সকল মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানো হয়েছে সে সকল মামলায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সরকার দীর্ঘ সময় ধরে বলে আসছেন তারেক রহমান এসকল দুর্নীতির সাথে জড়িত অথচ আজ পর্যন্ত তারা একটিরও প্রমাণ করতে পারেনি। এবং একটি মামলায় মামলার বিচারক তাকে নির্দোষ বলে রায় দেওয়ার কারণে ওই বিচারককে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে।
জিয়া পরিষদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম সলিমুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামছুজ্জামান দুুদু প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।