বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টানদের নিয়ে কেক কাটলো বিএনপি
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে বড়দিনের কেক কেটেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শুভেচ্ছা বিনিময়ের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাইবেল পাঠের পর শুভ বড়দিনের প্রাক্কালে বিএনপির মহাসচিব মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বিজন কুমান সরকার, ইন্টারনেটে যুক্ত হওয়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের উপস্থিতিতে নেতারা বড়দিনের কেক কাটেন।
অনুষ্ঠানে তারেক রহমান খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
এলবার্ট পি কস্টার সভাপতিত্বে ও সুব্রত রোজারিওর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় নেতা গৌতম চক্রবর্তী, জনগোমেজ, মার্সেল এম চিরান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সত্যিকার অর্থে বড়দিনে যীশু খ্রিস্টের জন্মদিনে আমাদের এ প্রার্থনা হওয়া উচিত যে, আসুন আজকে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই, অন্ধকারকে দূর করে আলোয় নিয়ে আসি এবং আমরা সবাইকে একটা কল্যাণময় রাষ্ট্র উপহার দিতে পারি এ প্রার্থনা করি। আমি আপনাদের দলের পক্ষ থেকে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে বড়দিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাইকে নিয়ে আমরা একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তৈরি করেছিলাম এবং যুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম সেই লক্ষ্য আমাদের বাস্তবায়ন হয়নি। আজকে দীর্ঘ ৫০ বছর পরে আমরা দেখছি এখানে মানবতা ভুলণ্ঠিত হচ্ছে, মানুষের অধিকার ভুলণ্ঠিত হচ্ছে, ভোটের অধিকার ভুলণ্ঠিত হচ্ছে, আমার কথা বলার স্বাধীনতাকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এমনকি আমার ধর্ম পালন করবার অধিকারকেও খর্ব করা হচ্ছে। এ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে যতগুলো সাম্প্রদায়িক দুর্ঘটনা ঘটেছে, অন্য কোনো সময়ে এমনটি ঘটেনি। আমাদের সবচেয়ে শান্তির জোট খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপরেও ঠিক একইভাবে অন্যায় করা হয়েছে, তাদের ঘর-বাড়ি-উপাসনালয় ধ্বংস করা হয়েছে, তাদের ধর্মযাজককে হত্যা করা হয়েছে। আজকে যেখানে গণতন্ত্র নেই, যেখানে মানুষের অধিকারকে হরণ করা হচ্ছে, আমাদের সংবিধানকে ধ্বংস করা হচ্ছে। এজন্য আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ঐক্য সৃষ্টি করা।