১৯৮৪ সালের এই দিনে আমাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল: রিজভী
১৯৮৪ সালের এই দিনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেছেন, ১৯৮৪ সালের ২২ ডিসেম্বর আমাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পরদিন ভয়েস অব আমেরিকার সংবাদে বলা হয় যে মারা যাননি বরং মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ২২ ডিসেম্বর আমার জীবনে একটি ঐতিহাসিক রক্তঝরা দিন।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল এবং ‘অগ্নিঝরা মতিহার ও রিজভী আহমেদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (রুনেসা) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন রুনেসার সভাপতি বাহাউদ্দিন বাহার।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বর্তমান সময়ে আমাদের মন ভালো নেই। আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভীষণ অসুস্থ। তার মুক্তির জন্য আমাদের এই মুহূর্তে রাজপথে নেমে আসা উচিত। যার বক্তব্যে আমরা উজ্জীবিত হতাম, যেই নেত্রী কখনো নির্বাচনে পরাজিত হননি, অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপস করেননি। সেই নেত্রীকে তিলে তিলে শেষ করে দেশকে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি বানানো এই সরকারের আসল লক্ষ্য। এজন্যই ছলে বলে কৌশলে খালেদা জিয়াকে মামলা দিয়ে কারাবন্দি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা কথা রাখেননি। তারা এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনে যাবেন না বলে ঘোষণা দিলেও পরে এরশাদের সঙ্গে লং ড্রাইভে গিয়ে টাকার ভাগ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। অন্যদিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসেন। আর আওয়ামী লীগ হচ্ছে অন্ধকার পথের যাত্রী।
রুনেসার সেক্রেটারি মল্লিক মো. মোকাম্মেল কবিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, কেন্দ্রীয় নেতা রমেশ দত্ত, আমিনুল ইসলাম, রুনেসার নেতা মাহবুবুল আলম ফরহাদ, আনোয়ারুল ইসলাম আনু, নূরুজ্জামান তপন, রফিকুল ইসলাম মন্টু, ইউসুফ আলী মোল্লা, মতিউর রহমান মতি, কাজী খাইরুল্লাহ শিপন, মাহমুদুল হাসান মিলন প্রমুখ।